তাঁর মাথায় নাকি অক্সিজেন কম যায়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এ কথা। তা নিয়ে নানা মহলে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের শেষ নেই। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনুব্রত মণ্ডল এ বার নিজেও বললেন সেই একই কথা। বললেন, ‘‘দিদির কথা বিশ্বাস না হলে আমার ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে নিন অক্সিজেন কতটা আছে।’’
বাংলার ‘দিদি’র সবচেয়ে প্রিয় ভাইদের অন্যতম নাকি অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের অন্দরেই শোনা যায় সে কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের বীরভূম জেলা কমিটির সভাপতিকে ডাক নামেই সম্বোধন করেন--- কেষ্ট। বহু বার বহু রকমের বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। বার বার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এমনকী অনুব্রত মণ্ডলের কীর্তিকলাপ দেখে কলকাতা হাইকোর্টও রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে। তাতেও কিন্তু ‘ভাই’ কেষ্টর প্রতি ‘দিদি’ মমতার স্নেহ একটুও টাল খায়নি। প্রশ্রয় মেশানো সুরে জনসভার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে শুনিয়ে দিয়েছেন, কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন কম যায়। তাই কেষ্টর নিন্দা-মন্দ তিনি পছন্দ করেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য বিরোধীদের ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপের অন্যতম সেরা খোরাকে পরিণত হয়েছে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির মাথায় অক্সিজেন কম যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে নানা রঙ্গ-রসিকতা হয়েছে বিভিন্ন শিবিরে। অনুব্রত নিজে কী বলছেন সে বিষয়ে? বললেন, ‘‘দিদি তো ঠিকই বলেছেন। আমার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানেন বলেই বলেছেন মিথ্যা তো কিছু বলেননি।’’ তার মানে? সত্যিই আপনার মাথায় অক্সিজেন কম যায়? আনন্দবাজার ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বার আরও অকপট অনুব্রত মণ্ডল। বললেন, ‘‘আমার ডাক্তার হলেন সুকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন। তা হলেই জানতে পারবেন আমার আমার আগে কত অক্সিজেন ছিল আর এখন কত অক্সিজেন আছে।’’
অনু্ব্রত মণ্ডলের দাবি, বীরভূমকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই বীরভূমে তৃণমূল এত শক্তিশালী। কিন্তু অন্যান্য জেলার চেয়ে বীরভূমে উন্নয়ন বেশি হয়েছে বলে কেন দাবি করছেন অনুব্রত? প্রিয় অনুব্রতর জেলা বলে কি বীরভূম বেশি প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর? অনু্ব্রতর জবাব, ‘‘আমরা চেয়েছি তাই পেয়েছি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চেয়েছি। দিদি মন্ত্রীদের বলে দিয়েছেন, বীরভূম জেলাটাকে একটু দেখে দিতে হবে। কিচ্ছু নেই জেলাটায়। মন্ত্রীরাও সেই নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ করেছেন। তাই বীরভূমে এত উন্নয়ন।’’