কমিশনে অভিযোগের পরে ধৃত ‘পলাতক’ তৃণমূল নেতা

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ অফিসার খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাগাল পাচ্ছে না পুলিশ—নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছেছিল এই অভিযোগ। এক সপ্তাহ আগে অভিযোগটি জানান দুবরাজপুর থানার নিহত সাব-ইনস্পেক্টর অমিত চক্রবর্তীর স্ত্রী পুতুল সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৬
Share:

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ অফিসার খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাগাল পাচ্ছে না পুলিশ—নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছেছিল এই অভিযোগ। এক সপ্তাহ আগে অভিযোগটি জানান দুবরাজপুর থানার নিহত সাব-ইনস্পেক্টর অমিত চক্রবর্তীর স্ত্রী পুতুল সরকার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কুড়ি মাস ফেরার থাকার পরে, সোমবার ধরা পড়লেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আলিম শেখ। বিরোধীদের টিপ্পনী, ‘‘কমিশনে অভিযোগ না হলে আলিম পলাতক হয়েই থাকতেন!’’

Advertisement

বিরোধীদের ওই অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাননি জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার। তবে জেলা পুলিশেরই এক কর্তার দাবি, ‘‘আলিমের খোঁজে নিয়মিত তল্লাশি করা হয়েছে। এলাকায় ফেরার খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে দুবরাজপুরের সালুঞ্চি গ্রাম (আলিমের বাড়িও ওই গ্রামে) থেকে আলিমকে ধরে। আজ, মঙ্গলবার তাঁকে দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হবে।

২০১৪-র ৩ জুন দুবরাজপুরের আওলিয়া-গোপালপুর গ্রামে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বোমার ঘায়ে গুরুতর চোট পান বছর পঁয়ত্রিশের অমিত। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় আলিম-সহ এলাকার তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। কয়েকজন ধরা পড়লেও দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আলিম-সহ বেশির ভাগ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের নেতা হওয়াতেই আলিমকে ‘খুঁজে’ পায়নি বীরভূম পুলিশ।

Advertisement

তবে পুলিশের মতোই বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলও। দলের দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্রের দাবি, ‘‘পুলিশ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছে। তবে আলিম ওই ঘটনায় জড়িত নন।’’ আর তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’

অমিতের স্ত্রী পুতুলদেবী (যিনি নিজেও পুলিশকর্মী) বলেন, ‘‘এলাকায় দেখা গেলেও আলিমকে ধরতে দু’বছর লেগে গেল! নির্বাচন কমিশনকে জানানোয় ধরা পড়ল লোকটা।’’ অন্য দিকে, হুগলি চুঁচুড়া-রথতলার বাসিন্দা নিহতের বোন অমিতা চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘দাদার খুনিরা সাজা পেলে শান্তি পাব। দেরিতে হলেও লোকটা ধরা পড়েছে জেনে ভাল লাগছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন