Narendra Modi’s Brigade Rally: মিঠুনদা, নাচুন না: লাল থেকে সবুজ হয়ে গেরুয়া, নানা রঙের এমএলএ ফাটাকেষ্ট

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২১ ১৮:৫০
Share:
০১ ০৯

এক সময়ের বাম সঙ্গ থেকে শুরু করে অধুনা সঙ্ঘের হাত ধরা। রুপোলি পর্দার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তারকা মিঠুন চক্রবর্তীর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই সম্পর্কের ওঠানামাও লক্ষ্য করা গিয়েছে সময়ের সঙ্গে। বাম, তৃণমূল হয়ে ‘নকশাল’ গৌরাঙ্গ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক যাত্রায় এ বারের স্টপেজ বিজেপি, ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’। বেশ কয়েক দিন ধরে চলা জল্পনা সত্যি প্রমাণ করে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড মঞ্চে রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন হল ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’র। বক্তৃতায় ‘মহাগুরু’র কথা তুলে ধরে বার্তা দিলেন মোদীও।

০২ ০৯

মৃণাল সেনের ছায়াছবি ‘তাহাদের কথা’র শিবনাথ বা ‘মৃগয়া’র ঘিনুয়া চরিত্র পর্দা থেকে উঠে এসে শোরগোল তুলেছিল বাস্তবেও। কখনও বিপ্লবী, কখনও তির-ধনুক হাতে ফুঁসে ওঠা সাঁওতাল যুবক। স্বাভাবিক ভাবেই ওই সব ছবির নায়ক মিঠুন এক সময় এ রাজ্যের বামনেতাদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এবং সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ‘গভীরতা’ ছিল সর্বজনবিদিত।

Advertisement
০৩ ০৯

আবার সেই বামেদের সম্পর্কেই রবিবার ব্রিগেডের ময়দান থেকে যখন একের পর এক তোপ দাগছেন মোদী, তখন হাসতেও দেখা গিয়েছে মিঠুনকে। মোদী বলেন, ‘‘বামপন্থীরা এক সময় বলতেন কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও। আমি জানতে চাই, আজ সেই কালো হাতের কী হল! কালো হাত ফর্সা হয়ে গেল কী ভাবে? যে হাতকে বামপন্থীরা কালো ভাবতেন, আজ তা সাদা হল কী ভাবে? যে হাত গুঁড়িয়ে দিতে চাইতেন, আজ সেই হাত ধরেই এগোচ্ছেন।’’ মোদীর এই মন্তব্যে হাসি চেপে রাখতে পারেননি একদা বাম-ঘনিষ্ঠ মিঠুন।

০৪ ০৯

সুভাষ চক্রবর্তীর প্রয়াণের পর থেকে মিঠুনের সঙ্গে বামেদের দূরত্ব একটু একটু করে বাড়তে থাকে। যত দিন গড়ায় ততই সেই দূরত্ব অপরিমেয় হয়ে ওঠে। তত দিনে রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমশই ভর বাড়ছে তৃণমূলের। এর পর থেকে জোড়াফুল শিবিরের সঙ্গে ক্রমশই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে তাঁর।

০৫ ০৯

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে যোগ দেন মিঠুন। জোড়াফুল শিবিরের বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালান তিনি।

০৬ ০৯

২০১৪ সালে মিঠুনকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠায় তৃণমূল। মনোনয়নপত্র পেশ করে নবান্নে এসে বয়সে ছোট মমতার হাঁটু ছুঁয়ে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছিলেন মিঠুন।

০৭ ০৯

এর পর নিয়ম করেই জোড়াফুল শিবিরের একাধিক নেতার সঙ্গে মিঠুনের ওঠাবসা এবং ঘনিষ্ঠতাও বাড়তে থাকে। কিন্তু সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর, রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ২০১৬ সালে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

০৮ ০৯

দীর্ঘ সময় পর, ফের মিঠুনকে ঘিরে জল্পনা শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। আচমকাই সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন মিঠুন।

০৯ ০৯

সেই বৃত্ত রবিবার পূর্ণ হল মোদীর ব্রিগেড মঞ্চে। ফের নতুন শিবিরে পা রাখলেন মিঠুন। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিজের ছায়াছবির সংলাপ বলে ‘উৎসাহ’ দিলেন। আবার মোদীর বক্তৃতার সময় শ্রোতার ভূমিকাও পালন করলেন। মোদী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে স্কুটি সামলাচ্ছিলেন দিদি। সবাই ভয় পাচ্ছিলেন, আপনি পড়ে গিয়ে আঘাত না পান। ভাগ্যিস পড়ে যাননি। নইলে যে রাজ্যে স্কুটি তৈরি হয়েছে, সেই রাজ্যকেই শত্রু বানিয়ে ফেলতেন। তাই ভাল হয়েছে পড়ে যাননি। কিন্তু ভবানীপুর যেতে যেতে নন্দীগ্রামের দিকে কী করে ঘুরে গেল স্কুটি?’’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সময় উত্তরীয় দিয়ে মুখ চাপা দিয়ে হাসতেও দেখা গিয়েছে মিঠুনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement