Narendra Modi

Bengal Election Result: মোদী-শাহর দিকে আঙুল তোলা শুরু, ফলের ইঙ্গিত মিলতেই ক্ষোভ পদ্মের অন্দরে

বিজেপি-র অন্দরের পারস্পরিক দোষারোপ সে ভাবে সামনে আসেনি। তবে স্থানীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে গুরুত্ব না পাওয়ার পুরনো ক্ষোভ চাড়া দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২১ ১২:৩৪
Share:

বিজেপি-র ফল ভাল না হওয়ায় শীর্ষ নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলছেন দলীয় কর্মীদের একাংশ।

এ বার, ২০০ পার। গণনার প্রথম পর্বে সেই স্লোগানের বদলে রাজ্য বিজেপি কার্যত ১০০ আসন টপকানোর কথা ভাবছে। আর এমন পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকে আঙুল তোলা শুরু করে দিয়েছেন পদ্মের রাজ্য নেতাদের একাংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের দিকে নাম করে আঙুল না তুললেও তাঁদের ইঙ্গিত স্পষ্ট। রাজ্যের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘সেনাপতি হয়েছিলেন যাঁরা জিতলে তাঁরা কৃতিত্ব নিতেন। এখন হারের দায়ও নিতে হবে।’’

Advertisement

প্রথম থেকেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব রাজ্যের হাত থেকে নিয়ে নেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কোন এলাকায় দল কেমন অবস্থায় রয়েছে তা দেখতে ৫ কেন্দ্রীয় নেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর পরে কী কী না করেছে বিজেপি! ৫টি পরিবর্তন রথ থেকে ২৯৪ কেন্দ্রে আলাদা আলাদা রথযাত্রা। কৃষক সুরক্ষা যাত্রা থেকে কৃষকদের সঙ্গে ‘সহভোজ’ কর্মসূচির পর কর্মসূচি ঠিক করেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই সব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রাজ্যে সাংগঠনিক কাজে জোর দেওয়া যায়নি বলে সেই সময়েই বাংলা বিজেপি-র অনেক নেতা অভিযোগ তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘আমরা জিতলে রাজ্যের সংগঠনেই জিতব। আর হারতে হলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তামঝামের জন্য।’’ রবিবার ফলের প্রাথমিক ধারণা মেলার পরেই সেই নেতারা আরও স্পষ্ট করে সেই অভিযোগ তুলছেন। রাজ্য বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘জেলায় জেলায় অন্য রাজ্য থেকে আসা পর্যবেক্ষকরা স্থানীয় নেতৃত্বের প্রতি অবিশ্বাস দেখিয়েছেন। বাংলার রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা না থাকলেও নিজেদের রাজ্যের অভিজ্ঞতা বাংলায় প্রয়োগ করতে চেয়েছেন। বারবার বলেও কাজ হয়নি। যে ফল হতে চলেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, সেটা ঠিক হয়নি।’’

বিজেপি-র অন্দরের পারস্পরিক দোষারোপ এখনও সামনে না এলেও এমন আলোচনাও শুরু হয়েছে যে, অনেক জায়গাতেই দলের পুরনো নেতা, কর্মীদের উপরে ভরসা না রেখে নবাগতদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বিজেপি-র এক ক্ষুব্ধ নেতার কথায়, ‘‘প্রার্থী ঠিক করার ক্ষেত্রেও রাজ্য নেতাদের কথা অনেক সময়েই শোনা হয়নি। তাতে নিচুস্তরের কর্মীদের মনোবল ভাঙা হয়েছিল। এখন এটা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, সমর্থকদের মনোবলও ভেঙে গিয়েছিল।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন