কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপ সি পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না। বরং এজন্সি-র মাধ্যমে নিয়োগ করছেন কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবিলম্বে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে ‘ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ এ্যাসোসিয়েশন’।
গত ২৫ ও ২৬ জুন প্রথম বার বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি বলেই অভিযোগ। তাই ৩০ জুন থেকে দিনরাতের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা। ছুটির দিন অর্থাৎ শনি-রবিবারও চলছে বিক্ষোভ।
‘ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ এ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে বাইরের এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। অথচ, পদ্ধতি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ সি পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করার কথা। এই মুহূর্তে পাঁচ হাজার অনুমোদিত পদে স্থায়ী কর্মী রয়েছেন ১২০০ জন। বাকি শূন্যপদ পূরণের জন্য এজেন্সি মারফৎ কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।” সুদীপ্তর দাবি, এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ম বহির্ভূত। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে বেতন দেওয়া হয় কর্মীদের। এজেন্সি মারফৎ নিয়োগে এজেন্সি-র লাভ হবে। তাই অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের বদলে বিশ্ববিদ্যালয় নিজে স্থায়ী গ্রুপ সি পদে কর্মী নিয়োগ করুক, এমনই দাবি তাঁদের।
সুদীপ্তর অভিযোগ, ২০১২ থেকে প্রায় ৭৮ জন স্থায়ী কর্মী কর্মরত অবস্থায় মারা যান। নিয়ম অনুযায়ী মৃত কর্মীদের পরিবারের এক জনের সেই চাকরি প্রাপ্য হয়। কিন্তু কোনও নিয়োগ হয়নি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরে নিয়োগ জটে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেখানে এই মুহূর্তে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে একমাত্র স্থায়ী পদাধিকারী সহ-উপাচার্য। বাকি সমস্ত পদ সামলাচ্ছেন অস্থায়ী ভাবে নিযুক্ত আধিকারিকেরা। রেজিস্ট্রার এবং ফিন্যান্স অফিসারের পদও এতদিন ধরে সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপকেরাই। এর বাইরেও একাধিক আধিকারিকের পদ শূন্য, নিয়োগ হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে বার বার।