এটা নিশ্চিত যে, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’র সামার ক্যাম্পের ওই ছোট্ট সর্দারকে কেউ আজও ভুলতে পারেননি। হাতের কর গুণে আকাশের তারা গোনা এবং ‘তুসসি না যাও’ বলে ডাক অভিনেতা পরজান দস্তুরের সেরার সেরা।
বলিউডের অন্যতম সেরা বন্ধুস্থানীয় পুলিশ কর্মী। ‘বাজিগর’-এ সীমার (শিল্পা শেট্টি) খুনের রহস্য উদঘাটনে তাঁর মতো দক্ষ হয়তো আর কেউ হতে পারতেন না। তিনি কিন্তু ভাল গানও গান। অভিনয় করেছিলেন সিদ্ধার্থ রে।
‘বাজিগর’-এর আরও এক চরিত্র, যাঁকে ভুলে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। মদন চোপড়ার বাড়ির হেড সার্ভেন্ট বাবুলাল। সব কাজে ভুল করতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। নুন মিশিয়ে চা বানানো থেকে দেওয়ালে উল্টো পেরেক ঠোকা— ‘বাবুলাল’ জনি লিভার জিন্দাবাদ।
এমন এক কর্মী যিনি নিজের কাজকে সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করতেন। কিন্তু তাঁর বসের (সানি দেওল) উৎসাহ এবং হুমকির জেরে এমন পরিবর্তন আর হয়তো কারও হয়নি। কর্মক্ষেত্রে ছুটি কীভাবে না নিতে হয় ‘বর্ডার’-এ মথুরাদাসই তো শিখিয়েছিলেন! অভিনয়ে ছিলেন সুদেশ বেরি।
‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবিতে সনিয়া (আমিশা পটেল)-এর আত্মীয় নীতা (তনাজ ইরানি)। বাপ রে বাপ! অভিনয় যতটুকু ছিল তাতে, তাঁর ‘সনিয়য়য়য়া’ বলে ডাকটা কোনওদিন ভোলা যাবে না।
গোটা ছবিতে ভদ্রলোকের একটাই কাজ ছিল। মাছের দাম জানা। ‘হেরা ফেরি’ ছবিতে ভুল নম্বর ডায়াল করে বার বার বাবুভাইকে (পরেশ রাওয়াল) অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন এই ‘চমন ঝিঙ্গা’। দীনেশ হিঙ্গুর ওই কমেডি টাইমিং ভোলা প্রায় অসম্ভব।
‘তন্নু ওয়েডস মন্নু’ ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল পাপ্পিজি। তাঁকে নাম জানতে চাইলে ডায়ালগ ছিল— ‘বোলকে বাতায়ে, ইয়া দে কে বাতায়ে? পাপ্পি!’ দীপক দোবরিয়ালের এই অভিনয়ও মন জয় করেছিল দর্শকদের।
শাহরুখকে প্রথম নজরেই ভালবেসে ফেলেছিলেন। কিন্তু গোল হল যখন রাজ (শাহরুখ খান) প্রীতিকে (মন্দিরা বেদী) নয়, বরং সিমরনকে (কাজল) ভালবেসে জেনে। কিন্তু কিছুক্ষণের অভিনয়ে প্রীতির ‘আদায়ে’ কিন্তু ভোলার নয়।