ধুলো ধরলেই সোনা হচ্ছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের? ছবি: ফেসবুক।
তাঁকে দেওয়া ‘লেডি সুপারস্টার’ তকমা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তিনি অবশ্য অনুরাগীদের দেওয়া এই ‘তকমা’ হাসিমুখে গ্রহণ করেছেন। তার মর্যাদাও যে রাখছেন, সে কথাই যেন স্পষ্ট হল বৃহস্পতিবার। খবর, এ বছর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় ১৫টি সংস্থার ‘মুখ’!
একটা সময় গয়না, প্রসাধনী, সাবান, রন্ধনসামগ্রী, তেল ইত্যাদির মুখ হতেন বাংলার নায়িকারা। এক একজন নায়িকা একাধিক বিজ্ঞাপনের মুখ হতেন। কিন্তু একসঙ্গে ১৫টি সংস্থার মুখ কি তাঁদের কেউ হতে পেরেছিলেন? বাংলা বিনোদন দুনিয়ার অন্দরের খবর, এ রকম কিছু ঘটে থাকলেও তা সংখ্যায় কম।
বিষয়টি নিয়ে শুভশ্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আনন্দবাজার ডট কম-কে বলেন, “বিজ্ঞাপনী ছবি মানেই বাণিজ্যবৃদ্ধি। অর্থনৈতিক দিক থেকে যেমন আমার লাভ, একই সঙ্গে বাংলা বিনোদন দুনিয়ারও লাভ। এতে আমার প্রচার যেমন বাড়ছে, তেমনই বাংলা বিনোদন দুনিয়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথাও বেশি করে ভাবছে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলি।” তাই সিরিজ় বা ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি এই ধরনের কাজের প্রতিও মনোযোগী তিনি। টলিউড বলছে, সব মিলিয়ে শুভশ্রীর জন্য ২০২৫ সত্যিই শুভ।
রয়েছেন মিমি চক্রবর্তী, রুক্মিণী মৈত্র, মধুমিতা চক্রবর্তীও। ছবি: ফেসবুক।
বাকি নায়িকারা এ বছর কে, ক’টি বিজ্ঞাপনী সংস্থার মুখ? তথ্য অনুযায়ী, ছ’টি বিজ্ঞাপনী সংস্থার মুখ হয়ে দ্বিতীয় স্থানে ঋতাভরী চক্রবর্তী। রুক্মিণী গয়না, চুলের তেল-সহ সম্ভবত তিনটি সংস্থার মুখ। মিমি চক্রবর্তীর ঝুলিতে তিনটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাজ ছিল। খবর, একটি প্রসাধনী সংস্থা তাঁর হাতছাড়া হয়েছে। সেই জুতোয় পা গলিয়েছেন মধুমিতা সরকার। একটি করে বিজ্ঞাপনী মুখ কোয়েল মল্লিক, মধুমিতা। তালিকায় রয়েছেন নুসরত জাহান-সহ আরও অনেকেই। নায়িকাদের পাশাপাশি নায়কেরাও আছেন। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-সহ অনেক অভিনেতা-পরিচালককে নানা বিজ্ঞাপনে প্রায়ই দেখা যায়। সম্প্রতি, আবীরের সঙ্গে বিজ্ঞাপনে জুটি বেঁধেছেন অঙ্কুশ হাজরা।
তবে বাংলায় এই মুহূর্তে সেরা বিজ্ঞাপনী মুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে তিনি কথাপ্রসঙ্গে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক জানিয়েছিলেন,তিনি একাই ৪৮টি বিজ্ঞাপনী সংস্থার মুখ!
সম্প্রতি, টলিউডে বিজ্ঞাপনী ছবি তৈরিতে ভাটার কথা আনন্দবাজার ডট কম-এর কাছে উল্লেখ করেছিলেন পরিচালক অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে এগিয়ে। সেখানকার বেশি সংখ্যক পরিচালক এবং অভিনেতা-অভিনেত্রী এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। ফলে, ঢালিউডকে শুধুই সিরিজ়, ছবি বা নাটকের উপর নির্ভর করে থাকতে হয় না। এর ফলে, ওই দেশের বিনোদন দুনিয়ার অর্থকরী দিকটি অনেকটাই পোক্ত।