গত বছর ২৫ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখ-আলিয়ার ‘ডিয়ার জিন্দেগি’। এক বছর হল ছবির বয়স। ‘ডিয়ার জিন্দেগি’র বিষয় ছিল মানসিক স্বাস্থ্য। রোজকার জীবনের চাপে মাঝে মাঝেই হাঁফিয়ে উঠি আমরা। এই ছবি ছিল দর্শকদের কাছে একটা ভিজুয়াল রিলিফ। অনেক কিছু শেখাতেও চেয়েছিল ‘ডিয়ার জিন্দেগি’। আমরা কি সেগুলোর একটাও মনে রাখতে পেরেছি? কী কী শেখাতে চেয়েছিল এই ছবি?
ছবিতে দেখানো হয়েছিল নিজের জীবন নিয়ে ‘কনফিউসড’ কাইরা (আলিয়া ভট্ট) সাহায্যের জন্য গিয়েছিলেন এক মানসিক চিকিত্সকের কাছে। তিনি জাহাঙ্গির খান (শাহরুখ খান)। আলিয়াকে কাউন্সেলিং করতে গিয়ে, আসলে দর্শকদেরও বেশ কিছু টিপস দিয়েছিলেন জাহাঙ্গির।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বন্ধুর সংখ্যা কমে আসে। কারণ আমরা যত বেশি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করি, ততই আমরা খুঁতখুঁতে হয়ে পড়ি। আমাদের তখন দুইয়ের মধ্যে একটাকে বেছে নিতে হয়। ‘কোয়ান্টিটি অব ফ্রেন্ডস’ বনাম ‘কোয়ালিটি অব ফ্রেন্ডস’।
মন খারাপ হওয়া একদমই স্বাভাবিক। সব রকম অনুভূতিকে অনুভব করার স্বাধীনতা আপনার রয়েছে। আপনি দুঃখ পেলে অবশ্যই কাঁদুন।
একটা সময়ের পর অভিভাবকদের অভিভাবকত্ব ছেড়ে বন্ধু হওয়া প্রয়োজন। কথা বলা জরুরি। তা না হলে সন্তানদের সঙ্গে অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়।
জীবনে উন্নতির জন্য, জোর করে কঠিন পথ বেছে নেওয়ার দরকার নেই। যে পথটায় হাঁটতে আপনি স্বচ্ছন্দ, সেই পথই বেছে নিন। সবার আগে নিজের ভাল ভাবে বাঁচতে পারাটা জরুরি।
আত্মসম্মানের সঙ্গে কোনও কিছুর জন্য সমঝোতা করা উচিত নয়।
আমরা সকলেই অন্য মানুষদের কম-বেশি জাজ করি। যে কোনও মানুষকে নিয়ে একটা ধারণা তৈরি করি। কিন্তু জাজমেন্টাল হওয়া ঠিক নয়। কারণ সব মানুষকে আমরা সমান ভাবে চিনি না।
আপনার প্রিয় মানুষ ভুল বা অন্যায় করলে তাকে অবশ্যই দ্বিতীয় সুযোগ দিন। তবে পাকাপাকি ভাবে কোনও মানুষকে বেছে নেওয়ার আগে তাঁর সম্পর্কে আপনার কিছুটা অভিজ্ঞতা থাকাও প্রয়োজন। কারণ কোন চেয়ার সবচেয়ে বেশি আরামের, তা আপনি পরখ না করে বুঝতে পারবেন না।