এক সময় সিলভার স্ক্রিন মাতিয়েছেন। কিন্তু আজ লাইমলাইট থেকে দূরে একঝাঁক বলিউড অভিনেত্রী। কেউ ব্যস্ত সংসার নিয়ে, তো কেউ আবার আধ্যাত্মিকতায় মগ্ন। নিজেদের এতটাই বদলে ফেলেছেন তাঁরা যে, চেনা দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। এমনই কিছু সেলেবদের এখনকার ছবি রইল। দেখুন তো চিনতে পারেন কি না!
মীনাক্ষী শেষাদ্রি: এক সময় বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিলেন বলিউডের ‘দামিনী।’ যেমন ভাল অভিনয় করতেন, তেমনই দক্ষ ছিলেন নাচে। তবে কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীনই গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। কয়েক বছর আগে ফের দেখা মেলে তাঁর। তবে প্রথমে কেউই চিনে উঠতে পারেননি তাঁকে।
মন্দাকিনী: রাজ কপূরের আবিষ্কার মন্দাকিনী। একসময় একের পর এক হিট দিয়েছেন। নব্বইয়ের দশকে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে নাম জড়ায়। তারপরই বলিউড থেকে গায়েব হয়ে যান তিনি। বিয়ে করে সংসারী হন। পরবর্তীকালে গানের দিকে ঝুঁকেছিলেন। বের করেছিলেন দু’টি অ্যালবামও। তবে সফল হননি। তাঁকে এখন দেখলে চেনার উপায় নেই।
মমতা কুলকার্নি: একটা সময় ‘সেক্স সিম্বল’ হিসাবে বলিউডে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন। তবে আচমকাই গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে সরে দাঁড়ান। পরে মাদক পাচার চক্রে নাম জড়ায় তাঁর। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। পুলিশ তাঁর হদিশ না পেলেও, কয়েক বছর আগে ভিডিয়ো কনফারেন্সে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। তাতে তাঁকে চেনা দায় হয়ে উঠেছিল।
টিনা মুনিম: বলিউডের সেই দুষ্টু-মিষ্টি নায়িকা এখন অনিল অম্বানির ঘরণী। দেশের অন্যতম বিত্তশালী পরিবারের বউমা। আগের মতোই গ্ল্যামার দুনিয়ায় ওঠবোস তাঁর। তবে চেহারায় আর সেই জেল্লা নেই। বরং বয়সের ছাপ পড়েছে। রাস্তাঘাটে হঠাৎ দেখলে চেনা মুশকিল।
রীনা রায়: একসময় ডাকসাইটে অভিনেত্রী বলে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু আজ গ্ল্যামার দুনিয়ার সঙ্গে প্রায় কোনও সম্পর্কই নেই রীনা রায়ের। পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহসিন খানকে বিয়ে করে অভিনয় ছেড়েছিলেন। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। পরে ফের অভিনয়ে ফেরেন। তবে আগের সাফল্য ফিরে পাননি। ব্যক্তিগত চড়াই উৎরাই তাঁর চেহারাতেও চাপ ফেলেছে।
সারিকা: অভিনয় ক্ষমতায় সমসাময়িক সকলকেই টেক্কা দিতে পারেন। কিন্তু বেছে বেছে ছবি করেন অভিনেত্রী সারিকা। মাঝে মধ্যে পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় ধরা দেন বটে। আগের সেই তন্বী নায়িকাকে খুঁজে পাওয়া যায় না বটে। তবে এখন তিনি অনেক পরিণত। দুই মেয়ে, শ্রুতি এবং অক্ষরার কেরিয়ার নিয়েই বেশি উৎসুক।
অনু অগ্রবাল: ১৯৯০ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘আশিকি।’ যার পর রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান ছবির নায়িকা অনু অগ্রবাল। কিন্তু একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তাঁ জীবন আমূল পাল্টে যায়। ২৯ দিন কোমায় ছিলেন তিনি। যার জেরে স্মৃতিশক্তি হারান। প্রথম জীবনের প্রায় সবকিছুই ভুলে যান। ৪৯ বছর বয়সে এখনও একাই তিনি। যোগ ব্যায়াম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই মুহূর্তে বলিউড নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই তাঁর।
ওয়াহিদা রহমান: ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা সুন্দরী নায়িকা। তবে শুধু সেই পরিচয়ে থেমে থাকেননি ওয়াহিদা রহমান।। বরং চরিত্রাভিনেত্রী হিসাবে একাধিকবার নিজের অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমানে আগের আর সেই রূপ নেই বটে। তবে এই ৮০ বছর বয়সেও তিনি আগের মতো স্নিগ্ধ।