দিতিপ্রিয়া রায়কে ছোট থেকে কে চেনেন? ছবি: সংগৃহীত।
দু’জনের নামের আদ্যক্ষর বাংলায় ‘দ’, ইংরেজিতে ‘ডি’। একই পেশায় জনপ্রিয় তাঁরা। দিতিপ্রিয়া রায়ের জন্মদিনে দিব্যজ্যোতি দত্ত ফাঁস করলেন গোপন কথা। ছুটির দিনে শরীরচর্চায় ব্যস্ত ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র নায়ক। দিতিপ্রিয়া-দিব্যজ্যোতি একসঙ্গে এসভিএফের প্রযোজনায় ‘দেখেছি রূপসাগরে’ মিউজ়িক ভিডিয়ো করেছেন। বন্ধুর জন্মদিন, বলতেই ফোনের ও পারে নায়ক বললেন, “সকাল সকাল শুভেচ্ছা জানিয়েছি।”
তার পরেই গোপন কথা ফাঁস করার ভঙ্গিতে বললেন, “জানেন, আমরা পরস্পরকে অভিনয়ে আসার আগে থেকে চিনি। আমার বাবা আর দিতিপ্রিয়ার বাবা খুব ভাল বন্ধু। ওঁরা ছোটবেলায় রোজ একসঙ্গে মাঠে ফুটবল খেলতেন!” তাই দু’জনে শুধুই সহ-অভিনেতা নন, ওঁরাও বাল্যবন্ধু। দাবি দিব্যজ্যোতির।
বন্ধু দিতিপ্রিয়াকে শুভেচ্ছা জানালেন দিব্যজ্যোতি দত্ত।
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা হয়ে সিরিজ়— সর্বত্র দিতিপ্রিয়ার অনায়াস গতিবিধি। ‘বন্ধু’ কি বদলে গিয়েছেন? সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা নিজেই জানিয়েছেন, চট করে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে তাঁর। তখন তাঁকে তাঁর মা সামলান। শুনে দিব্যজ্যোতি বললেন, “আমিও চট করে মাথাগরম করে ফেলি। তাই বুঝি, যাঁরা আমার মতো তাঁরা আসলে খুবই ভাল মনের। দ্রুত রেগে দ্রুত শান্ত হয়ে যান। মনে জমিয়ে রাখেন না।” এই জায়গা থেকেই তাঁর দাবি, “দিতিপ্রিয়ার যাঁরা বন্ধু তাঁরা জানেন, ও মানুষ হিসাবে কতটা ভাল।”
একসঙ্গে মিউজ়িক ভিডিয়োয় অভিনয়ের সুবাদে দিব্যজ্যোতি-দিতিপ্রিয়াও চর্চায় ছিলেন। তাঁরা কি সম্পর্কে আছেন? এমন কৌতূহল প্রকাশ করতেন তাঁদের অনুরাগীরাও। কথা শেষ হওয়ার আগেই মুখ খুলেছেন বড় পর্দার ‘গৌরাঙ্গ’। তাঁর কথায়, “জানি তো! আমার সঙ্গে জড়িয়ে দিতিপ্রিয়াকে নিয়ে কি কম গুঞ্জন হয়েছে! আমরা সে সব শুনতাম আর নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতাম।”