বাংলাদেশের মেহজ়বীন টলিউডেও সমান জনপ্রিয়। ছবি: সংগৃহীত।
টলিউড নাকি পেতে চায় তাঁকে! বাংলা ছবিতে নায়িকা হওয়ার ডাক একাধিক বার পেয়েছেন। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ও নাকি ‘বহুরূপী’র জন্য বেছেছিলেন মেহজ়বীনকে। নায়িকা সাড়াই দেননি! কেন?
এখানেই কিন্তু শেষ নয়! টলিউডের আরও অনেক খ্যাতনামীই নাকি বাংলাদেশের নায়িকার কাজের অনুরাগী। তাঁরা কারা?
সম্প্রতি, বাংলাদেশের এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানে কথাপ্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, সপরিবার রঞ্জিত মল্লিক তাঁর অভিনয় দেখতে ভালবাসেন। তাঁর অভিনেত্রী কন্যা কোয়েল নাকি মেহজ়বীনের সমস্ত ‘নাটক’ দেখেন! একই ভাবে টলিউডের এক সুপারস্টার তাঁকে তাঁর ছবিতে পেতে চেয়েছিলেন।
যদিও ওই বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে (মাছরাঙা টেলিভিশন) সম্প্রচার হওয়া সাক্ষাৎকারের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সত্যিই কি নন্দিতা-শিবপ্রসাদ তাঁদের গত বছরের পুজোর ছবির নায়িকা হিসাবে মেহজ়বীনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন?
আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল পরিচালক-প্রযোজক জুটির সঙ্গে। শিবপ্রসাদকে ফোনে পাওয়া যায়নি। নন্দিতা কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, “আমার তরফ থেকে এ রকম কোনও ডাক পাঠানো হয়নি।” পাশাপাশি এ-ও বলেন, “আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা— সবটাই। শিবুও ‘বহুরূপী’র ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। তাই ওর তরফ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না।”
স্বাভাবিক ভাবেই বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের ওই সাংবাদিক নায়িকার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কেন তিনি কারও ডাকে সাড়া দেননি?
মেহজ়বীন কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তিনি আগামী দিনে টলিউডে কাজ করতে ইচ্ছুক, এ কথাও জানাতে ভোলেননি। নায়িকার কথায়, “এ পার বাংলা-ও পার বাংলা বলে কিছু নেই। দুই দেশ মিলিয়ে একটাই বাংলা। আমাদের ভাষাও এক। তাই দুই ইন্ডাস্ট্রি যদি এক হয়ে কাজ করে তা হলে ইন্ডাস্ট্রি আয়তনে আরও বাড়বে।”