দিতিপ্রিয়া রায়। ছবি: দিতিপ্রিয়ার ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে গৃহীত।
‘বাবা মথুর, তুমি এয়েচো?...’
মনে করতে পারছেন, ঠিক এ ভাবে কে কথা বলেন? কাকে এ ভাবে ডাকা হয় বলুন তো?
ঠিকই ধরেছেন। এই ডায়লগ আপনার চেনা। সৌজন্যে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রানি রাসমণি’। সেখানে রাসমণির ভূমিকায় অভিনয় করছে দিতিপ্রিয়া রায়। তার মুখেই এই সংলাপ শুনেছেন বাঙালি দর্শক।
আরও পড়ুন, ‘নিঃশর্ত ভালবাসা’… কার জন্য? শেয়ার করলেন দিতিপ্রিয়া
সম্প্রতি এই শব্দচয়নের কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হতে হয়েছে দিতিপ্রিয়াকে। তাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ‘মিম।’ যা ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু তা শুধুমাত্র আর মজায় আটকে থাকেনি। ক্রমশ মাত্রা ছাড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে অত্যন্ত অপমানজনক ও বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
আরও পড়ুন, দিতিপ্রিয়াকে এই লুকে আগে দেখেছেন?
প্রাথমিক ভাবে গোটা ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবাদ করেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। সমালোচনায় সরব হয়েছেন টলি মহলের একটা বড় অংশও।
কিন্তু যিনি ট্রোলড হলেন, সেই দিতিপ্রিয়ার কী মত? তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমে ব্যাপারটা মজার পর্যায়ে ছিল। কিন্তু পরে খুব খারাপ কিছু মিম তৈরি হয়। আমি কিছু বলিনি। আমার ফ্যান পেজ থেকে প্রটেস্ট করা হয়। আমাকে সৃজিত স্যারও ফোন করেছিলেন। উনিও প্রতিবাদ করেন। আমি কৃতজ্ঞ। আমার ফ্যানেদের অনেক ধন্যবাদ। যতক্ষণ মজা করে করা হয়েছে, ততক্ষণ ভাল। কিন্তু খারাপ ট্রোল বন্ধ হওয়া উচিত।’’
ট্রোলিংয়ের ইতিহাস নতুন নয়। কখনও পোশাক, কখনও বা কোনও কথা নিয়ে ট্রোলড হতে হয় সেলেবদের। কখনও তাঁরা প্রতিবাদ করেন, কখনও বা এড়িয়ে যান। ‘রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকে যে সময়কাল দেখানো হচ্ছে, সে সময় ওই ভাবেই কথা বলার প্রচলন ছিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সেই শব্দচয়নের কারণেই যে ট্রোলড হতে হবে, এ কথা ভাবেননি নির্মাতারা।