নতুন রূপে কিউ। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর ছবির নাম নিয়েই বিতর্ক হয়েছিল বিস্তর। ছবির বিষয় নিয়ে আজও আলোচনা হয়। এ বার সেই পরিচালক কিউ র্যাপার-এর ভূমিকায়।
কিউ-এর লেখা র্যাপ! ছবির মতো সেখানেও থাকছে ব্যতিক্রমী বার্তা? ইতিমধ্যেই সেই গানের মিউজ়িক ভিডিয়ো প্রস্তুত। কিউ বলেছেন, “এখানে আমার অন্য একটা সত্তা দেখা যাবে। এখানে আমি ‘ডক্টর গান্ডু’র চরিত্রে রয়েছি। বরাবরই সমাজের কিছু বিষয় চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চেয়েছি চাঁছাছোলা ভাষায়।”
সমাজের কোন বিষয়ের বিরোধিতা করতে দেখা যাবে র্যাপার কিউকে? পরিচালক বলেন, “সামাজিক পরিচিতি ও মধ্যবিত্ত মানসিকতা নিয়ে ‘ডক্টর গান্ডু’ কথা বলে। কারণ, এই চরিত্রটি রাস্তা থেকে উঠে আসা। আসলে ও নিজে কিছু করতে পারে না, তাই ও ঘুরে সমাজকেও বলে, ‘তুমিও কিছুই বোঝো না। উল্টে আমাকে জ্ঞান দাও।’ ও খুব তাত্ত্বিক কথা বলে। কিন্তু একেবারে রাস্তার ভাষায় কথা বলে।”
প্রথম গানটির নাম ‘শুদ্ধ প্রেম’, যেটি মুক্তি পাচ্ছে ১৯ সেপ্টেম্বর। কিউ-এর সংস্থা ‘অড মিউজ়িক’-এর তরফ থেকে এমন আরও বেশ কিছু গান প্রকাশ পাবে। প্রতিটিতেই তাঁর উল্লিখিত চরিত্রের বিশেষ বার্তা থাকবে।
চরিত্রের নামের নেপথ্যে কি কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে? তথাকথিত শ্লীল ও অশ্লীলের গণ্ডি কি কিউ-এর অভিধানে নেই? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কিউ বলেন, “শ্লীল ও অশ্লীলের লড়াই অনেক দিনের। এটা আর্য-অনার্যের মধ্যে চলে আসা একটা লড়াই। রাস্তার লোক আর সংস্কৃত জানা লোকের মধ্যে এই লড়াই। আমাকে তুমি স্কুলে যেতে দিচ্ছ না। পড়াশোনা করার ক্ষমতা নেই। আমি রাস্তায় বড় হচ্ছি। ফলে রাস্তার ভাষা শুনে বড় হচ্ছি। সেখান থেকেও অনেক দূর এগিয়েছে অনেকে। কিন্তু রাস্তার থেকে শেখা ভাষাটা কখনওই তথাকথিত ‘ভদ্র’ ভাষা হবে না। আমি সেই ভদ্র পরিসরে ঢুকছিও না। কিন্তু রাস্তায় সেই ভাষাটা বলায় কী ক্ষতি!”
চরিত্রের নাম নিয়ে কিউ-এর বক্তব্য, এখানে চরিত্রটির নাম হিসেবে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি একটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। বিশেষণ নয়। কিউ-এর কথায়, “এই শব্দটি খুবই মিষ্টি লাগে আমার। আমি মনে করি এই শব্দগুলো খুব প্রগতিশীলও।”
‘শুদ্ধ প্রেম’ গানটি ‘ডেথ বাই অঞ্জুনা’ ব্যান্ডের সঙ্গে জোট বেঁধে তৈরি করেছেন কিউ। মিউজ়িক ভিডিয়োটির পরিচালনা করেছেন অরিজিৎ সরকার।