Shaurita Shankar Ghosh Screen Sharing With Mamata Shankar

পর্দায় মমতাশঙ্করের ‘ছেলেবেলা’ করছেন বৌমা সৌরিতা! পারিবারিক ধারা মেনে পুত্রবধূও অভিনয়ে?

সাধারণত মেয়েরা মায়ের ‘ছেলেবেলা’ সম্বন্ধে বেশি ভাল জানেন। সৌরিতা কি মমতাকে সে ভাবে চেনেন? পর্দায় ফোটাতে পেরেছেন?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:১৫
Share:

পর্দায় মমতাশঙ্কর-সৌরিতাশঙ্কর ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।

অঞ্জন দত্ত-মমতাশঙ্করের হাত ধরে হারানো প্রেম পর্দায় ফিরছে। ফেরাচ্ছেন পরিচালক সপ্তাশ্ব বসু। ছবির নাম ‘দেরি হয়ে গিয়েছে’। এই ছবি একটি বড় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। সপ্তাশ্বের হাত ধরে অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখছেন মমতাশঙ্করের ছোট ছেলে রাজিতশঙ্কর ঘোষের স্ত্রী সৌরিতাশঙ্কর ঘোষ।

Advertisement

কোন ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে? খবর, ছবিতে মমতাশঙ্করের ‘ছেলেবেলা’ জুড়ে তিনি। পারিবারিক প্রথা মেনে পর্দায় অভিষেক হল। সুযোগ এল কী ভাবে? প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। মমতা এবং সৌরিতা উভয়েই জানিয়েছেন, সে দিন তাঁদের বাড়ির গৃহ-সহায়িকারা অনুপস্থিত ছিলেন। এ দিকে ছবির চিত্রনাট্য শোনাতে উপস্থিত পরিচালক সপ্তাশ্ব, ছবির নায়ক অঞ্জন দত্ত। সে দিন চা পরিবেশনের দায়িত্ব বর্তেছিল শঙ্কর ঘোষ পরিবারের ছোট বৌমার উপরে। সৌরিতাকে দেখামাত্র পছন্দ পরিচালকের। পরে তিনি মমতাশঙ্করকে সে কথা জানাতেই অভিনেত্রী আপত্তি জানাননি। তাঁর কথায়, “শুধুই পরিবার নয়, আমার ছাত্রছাত্রীদের কথাও পরিচালকদের বলে থাকি। সৌরিতা সুযোগ পাওয়ায় খুব খুশি।”

সেটে অপালা চৌধুরী, মমতাশঙ্কর, অঞ্জন দত্তকে শট বোঝাচ্ছেন পরিচালক সপ্তাশ্ব বসু। ছবি: সংগৃহীত।

এতটাই কি খুশি হয়েছিলেন নতুন অভিনেত্রীও? সৌরিতার কথায়, “আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির সকলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘করা উচিত? করব? আমি কি পারব?’ বাড়ির প্রত্যেকে সে দিন জোর গলায় সমর্থন জানিয়েছিলেন।” তা বলে একেবারে শাশুড়ির ছেলেবেলা! কতটা দেখেছেন ওঁকে? অভিনেত্রীর বৌমার দাবি, “দশ বছর বয়স থেকে ওঁকে চিনি। তাই এটুকু বিশ্বাস ছিল, ওঁর ছেলেবেলা পর্দায় ফোটাতে খুব সমস্যা হবে না।”

Advertisement

নাচের খাতিরে মঞ্চে তিনি অনায়াস। অভিনয় নাচের অন্যতম অঙ্গ। কিন্তু এই প্রথম ক্যামেরার মুখোমুখি সৌরিতা। বিপরীতের অভিনেতা আদিত্য চৌধুরীও অচেনা। সেই কারণে প্রেমের স্বল্প দৃশ্যে অভিনয়...! কথা থামিয়ে দিয়ে জবাব দিলেন, “এটাই তো চিন্তার বিষয় ছিল! খুব আড়ষ্ট ছিলাম। বাড়ির প্রত্যেকে, সেটের প্রত্যেকে কথা বলে বলে সহজ করার চেষ্টা করেছেন। তবে অভিনয় করতে পেরেছি।” যদিও ব্যস্ততার কারণে মমতাশঙ্কর ছোট বৌমাকে অভিনয় নিয়ে ‘টিপ্‌স’ দিতে পারেননি। তবে ছবির ডাবিং করতে গিয়ে যেটুকু দেখেছেন তাতে তিনি খুশি।

প্রথম কাজের পরে আগের তুলনায় আড়ষ্টতা কেটেছে তাঁর। উপভোগ করেছেন শুটিং। সৌরিতার পরের ছবির শুটিং তা হলে কবে?শুনে জোরে হেসে ফেলেছেন। হাসতে হাসতে বলেছেন, “ছবিমুক্তিই ঘটল না, কেউ আমার অভিনয়ও দেখলেন না— তার আগেই এত কিছু! পরের ছবি নিয়ে কিছু ভাবছিই না।” তাঁর বড় জা সুদেষ্ণাশঙ্কর ঘোষ এখনও রুপোলি পর্দায় পা রাখেননি। ছোট জা পেরেছেন দেখে মনক্ষুণ্ণ তিনি? সৌরিতার কথায়, “আমাদের পরিবার এ রকম নয়। প্রত্যেকে উদারচেতা। দিদিভাই খুব খুশি।”

মমতাশঙ্কর কি ছোট বৌমাকে আর অভিনয় করতে দেবেন? জবাবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, “কেন নয়? আমি কাউকে, কিছুতে বাধা দিই না।” আরও যোগ করেছেন, “দুই বৌমার কাছে একটাই অনুরোধ, পারিবারিক ঐতিহ্যের বাইরে গিয়ে কিছু কোরো না। তা হলেই হবে। তোমরা যত উন্নতি করবে ততই আমার গর্ব।” একটু থেমে আফসোস করেছেন, “বড় ছেলে রাতুল তবু বড়পর্দায় অভিনয় করল। রাজিতকে এখনও রাজি করাতেই পারলাম না!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement