গত ইস্যুতে যে ওয়ার্কআউটগুলো বলেছিলাম, করেছেন তো নিয়ম করে?
ওজন কমতে তা হলে আর বেশি দেরি নেই। কী বলুন?
একটা কথা কি জানেন? ওজন কমাতে গিয়ে আশি শতাংশ মানুষই মাথা খারাপ করে ফেলেন। সে কারণেই গত সপ্তাহে প্রসেস-এ মন দেবার কথা বলেছিলাম। প্রসেসটা ঠিকঠাক করলে কিন্তু হাফ দ্য ব্যাটল ওন।
তবে শুনতে যতটা সহজ, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ততটাই কঠিন। এখানে প্রসেস-এর মানে হল এক্সারসাইজে মন দেওয়া এবং সেই এক্সারসাইজ বাছার প্রশ্নে অবশ্যই থাকবে বিজ্ঞানসম্মত ভাবনা। যে ওয়ার্কআউটই বাছুন না কেন, ওজন নিয়ে ব্যায়াম হল ঠিক ধ্রুবতারার মতো সত্য। যেখানেই যান, ঠিক সঙ্গে থাকবে। তবে প্রসেসটা বুদ্ধি করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই হল মোদ্দা কথা। যেমন আগের প্রসেস-এ শরীরের ওপরের আর নীচের অংশের ৬-টা করে ব্যায়াম করেছিলেন। এবার সেটা বাড়িয়ে করুন ৮-টা। ব্যায়ামগুলো এবার একটু কঠিন করে করতে হবে। ঘাবড়ে গেলেন তো?
চলুন, গোটা সপ্তাহের শরীরের ওপরের অংশের এক্সারসাইজের কথায় ফেরা যাক। মাটিতে শুয়ে দু’হাতে চেস্টপ্রেস করছেন তো? এক হাতে ১০টা করার পর ডাম্বেলটা হাতবদল করে অন্য হাতে করুন। এক সপ্তাহ বাদে ডাম্বেলের ওজন বাড়িয়ে করুন ১ কেজি। এ ছাড়াও উপুড় হয়ে অল্টারনেট রো, ডাম্বেল বেন্ট ওভার রো, ডাম্বেল সুইং, ডাম্বেল কার্ল অ্যান্ড প্রেস, সিটেড রাশিয়ান টুইস্ট ব্যায়ামগুলো ভাল কাজ দেবে। এটা কিন্তু আপনার ওয়ার্কআউটের তৃতীয় মাস। তাই খাটতে একটু হবেই। ১৫ দিন অন্তর ডাম্বেলের ওজন ১ কেজি করে বাড়ান। মানে প্রগ্রেসিভ ওভারলোড করুন। তবে একই বাধার বিপক্ষে পেশিকে বেশি দিন খাটাবেন না। হিতে বিপরীত হবেই।
শরীরের নীচের অংশের জন্য এমন ব্যায়াম বাছুন যাতে শরীরের মূল পেশি কাজ করবে। সঙ্গে পেটের গভীরের পেশি। যাকে বলে কোর পেশি। গত মাসে আমরা স্টেপ আপ করেছি। এবারে পাশাপাশি একটাই ডাম্বেল নিয়ে স্টেপ আপ করুন। টুলে উঠে দাঁড়িয়ে ডাম্বেলটা সমান্তরাল ভাবে ভেতর থেকে বাইরে ঘোরান। মানে স্টেপ আপ অ্যান্ড রোটেশন। এতে পায়ের সঙ্গে কোর পেশির ব্যায়ামও হয়ে গেল।
চিন্ময় রায়ের পুরো ব্লগ পড়ুন মঙ্গলবার