Meghna Gulzar

মেঘনাকে দোষারোপ

হরিন্দরের লেখা উপন্যাসের শেষে সেহমত গর্বিত ভারতীয় হিসেবে দেশে ফিরে আসে। কিন্তু মেঘনার ছবির শেষে সেহমত যে ভাবে ভগ্নহৃদয়ে দেশে ফিরে আসে, তাতে ভারতীয় সেনাকে ছোট করা হয়েছে বলে মনে করেন হরিন্দর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০০:০১
Share:

মেঘনা

প্রাপ্য স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করার দায়ে মেঘনা গুলজ়ারের দিকে আঙুল তুললেন ‘কলিং সেহমত’-এর লেখক হরিন্দর সিক্কা। এই বইটির গল্প অবলম্বনেই তৈরি হয় ‘রাজ়ি’ ছবিটি। কিন্তু সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে হরিন্দর বলেছেন, ‘‘মেঘনা সব জায়গা থেকে আমার নাম সরিয়ে দিয়েছেন। জয়পুর সাহিত্য উৎসবের উদ্যোক্তাদের উপরে মেঘনা চাপ সৃষ্টি করেন, আমার নাম সরিয়ে দেওয়ার জন্য। ফলে আমার বইপ্রকাশও পিছিয়ে যায়। আমার কাছে এখনও সেই মেল আছে, পড়ে শোনাব?’’ এর পর হরিন্দর সেই মেলের প্রিন্টআউট থেকে পড়েও শোনান, ‘‘জয়পুর লিটারেচার ফেস্টিভ্যালের এক শীর্ষকর্তা সেখানে লিখেছেন, ‘একজনের নাম সরানোর জন্য কাউকে এ ভাবে বুলডোজ়িং করতে আমার ৩৫ বছরের কর্মজীবনে দেখিনি।’ এমনকি একটি পুরস্কার অনুষ্ঠানেও ‘বেস্ট অরিজিনাল স্ক্রিনপ্লে’র সম্মান থেকে আমার নাম সরিয়ে দেওয়া হয় মেঘনার কথায়। সেই সম্মান পায় ‘অন্ধাধুন’, যা একটি ফরাসি শর্ট ফিল্ম অবলম্বনে তৈরি।’’

Advertisement

হরিন্দরের লেখা উপন্যাসের শেষে সেহমত গর্বিত ভারতীয় হিসেবে দেশে ফিরে আসে। কিন্তু মেঘনার ছবির শেষে সেহমত যে ভাবে ভগ্নহৃদয়ে দেশে ফিরে আসে, তাতে ভারতীয় সেনাকে ছোট করা হয়েছে বলে মনে করেন হরিন্দর। তিনি এ-ও জানান যে, তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে একজন ‘আউটসাইডার’ বলেই এই ধরনের ব্যবহার তাঁকে পেতে হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। হরিন্দরের দাবি ‘ছপাক’ ছবির গল্পও দিল্লির এক আইনজীবীর লেখা। সেই লেখককেও একই ভাবে সাইডলাইন করা হয়। ‘ছপাক’ মুক্তির আগে এ নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। তবে হরিন্দরের অভিযোগের জবাবে এখনও মুখ খোলেননি মেঘনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন