অনির্বাণের ‘হুলিগানইজ্ম’-এর অনুষ্ঠান বাতিল নিয়ে কী বললেন দেবরাজ? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
তাঁদের অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন শ্রোতা। কিন্তু হঠাৎই বাতিল হয়ে গেল অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘হুলিগানইজ়ম’ ব্যান্ডের অনুষ্ঠান। আগামী ১ নভেম্বর গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। ‘ফসিল্স’, ‘চন্দ্রবিন্দু’, ‘লক্ষ্মীছাড়া’, ‘ইউফোরিয়া’র পাশাপাশি ‘হুলিগানইজ়ম’-এরও অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু সম্মিলিত ব্যান্ডের অনুষ্ঠানে ‘হুলিগানইজ়ম’ থাকলে অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। জানোন হল ‘হুলিগানইজ়ম’–এর পক্ষ থেকেই।
উল্লিখিত অনুষ্ঠানে অন্য ব্যান্ডগুলি থাকছে। কিন্তু বাদ পড়েছে শুধু ‘হুলিগানইজ়ম’। খবরটি নিজেদের সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে অনির্বাণের ব্যান্ডে। তাঁরা লিখেছেন, “ইহার পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি বা কারণ কখনওই খুঁজিবেন না।” এই মন্তব্যের নেপথ্যেও কি রয়েছে ব্যঙ্গ বা বিশেষ ইঙ্গিত? ব্যান্ডের সদস্য দেবরাজ ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, “আমাদের অনুষ্ঠান কেন বাতিল হল, তা সবচেয়ে ভাল জানেন আয়োজকেরা। তবে আমার যতটা জানতে পেরেছি, ‘হুলিগানইজ়ম’ থাকলে এই অনুষ্ঠানের অনুমতি পেতে অসুবিধা হচ্ছে। অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের। তাই এর নেপথ্যের কারণ কী হতে পারে, আমাদের সত্যিই জানা নেই।”
‘হুলিগানইজ়ম’ তাঁদের পোস্টে জানিয়েছিলেন, এই অনুষ্ঠান বাতিল হলেও, গান বন্ধ হবে না। তাঁরা সেখানে সাধু ভাষায় লিখেছিলেন, “আমরা আগেই বলিয়াছি, পশ্চিমবঙ্গ অরাজনৈতিক রাজ্য এবং সাংস্কৃতিক উদারতায় বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করিয়াছে।” এই মন্তব্যের মধ্যে বিশেষ ইঙ্গিত খুঁজে পেয়েছেন নেটাগরিক।
কয়েক মাস আগে একটি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল— তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপির তিন ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিল ‘হুলিগানইজ়ম’। সেই নিয়ে বিতর্কও হয় বিস্তর। কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন অনির্বাণও। যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে কুণাল ঘোষ কোনও আপত্তি জানাননি। তিনি উপভোগ করেছিলেন বলেই জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, পুজোর আগেই ‘হুলিগানইজ়ম’-এর একটি গান প্রকাশ হয়েছে। ‘পূজার গান’ নামে সেই গানে গ্রামগঞ্জের দুর্গাপুজোর ছবি রয়েছে। গানের কথাও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। “হেই মা দুর্গা ইদিক আয়। মোদের চারপাশেতে অনেক অসুর, ধরছে টিপে গলার নলি। তুই এক্ষুনি তার বিচার কর।” সেই গানে কি তাঁরা সূক্ষ্ম ভাবে আরজি কর কাণ্ড ছুঁয়ে গিয়েছেন? সেই প্রশ্নও উঠেছিল। সেই সময়ে দেবরাজ বলেছিলেন, “ব্যান্ডের একটা ভাবমূর্তি তৈরি হতেই পারে। যেমন চার্লি চ্যাপলিন মানেই মানুষ বোঝেন, উনি শুধু হাসাতেই পারেন। আসলে আমাদের খুব কম গান প্রকাশ পেয়েছে। বেশ কিছু প্রেমের গানও রয়েছে আমাদের তালিকায়। যেটুকু ছড়িয়েছে সেটুকু শুনে মানুষের হয়তো মনে হচ্ছে, আমরা কেবলই এই ধরনের গান করব।”