রাজনীতিতে ঋত্বিকা সেন! ছবি: ফেসবুক।
বড়-ছোট পর্দা থেকে বহু দিন দূরে। দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়ায় মাঝে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বাংলা সিরিজ়ও করেছেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে হঠাৎই শুরু হয় গুঞ্জন, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে নাকি শাসকদলের হয়ে লড়তে পারেন অভিনেত্রী ঋত্বিকা সেন!
এর আগেও একাধিক লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বাংলা বিনোদন দুনিয়ার খ্যাতনামীরা। অনেকে ভোটে জিতেছেন, অনেকে পারেননি। সফলদের তালিকায় দেব, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান থেকে রাজ চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে রয়েছেন। মিমি, নুসরত শাসকদলের প্রাক্তন সাংসদ। রচনা নবনির্বাচিত সাংসদ। দেব এখনও সাংসদ পদে রয়েছেন। বিধায়ক এবং কাউন্সিলর পদেও একই ভাবে টলিউডের জয়ী প্রার্থীরা রয়েছেন। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন কি ঋত্বিকা?
সেই সময় তিনি আনন্দবাজার ডট কমকে বলেছিলেন, “এমনও দিন গিয়েছে, দলের ৪০টি প্রচারে টানা যোগ দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী যখন ডেকেছেন তখনই সাড়া দিয়েছি। ফলে, সেই জায়গা থেকে এই ধরনের ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে।”
২০ জুলাই থেকে সেই গুঞ্জন ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। এ বার শোনা যাচ্ছে, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে নাকি তাঁর হাতে নতুন দায়িত্বভার তুলে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনিই নাকি নতুন মুখ!
যিনি এর আগে জানিয়েছিলেন, রাজনীতিতে আসার প্রশ্ন নেই, তাঁকে নিয়েই ফের কেন গুঞ্জন?
ঋত্বিকার কাছে জানতে চাওয়া হয় আরও একবার। তিনি মৃদু হেসে বলেছেন, “গুঞ্জন আমি ছড়াইনি। আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। ফলে, কী করে জানব কেন এ রকম গুঞ্জন বার বার ছড়াচ্ছে?” তাঁর দাবি, তিনি মত বদলাননি। আগেও যা বলেছেন এখনও তাই-ই বলবেন। তিনি রাজনীতিতে আসছেন না। তিনি বিজ্ঞাপনী ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত।
অভিনেত্রীর দাবি, “সময় করে উঠতে পারলে নিশ্চয়ই দিদির সঙ্গে গিয়ে দেখা করে আসব।”
তবে রাজনীতি থেকে দূরত্ব রাখতে চাইছেন, বুঝিয়ে দিয়েছেন এমনই। ঋত্বিকা বলেন, “রাজনীতি বুঝি না। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার মতো বয়সও আমার হয়নি। তার পরেও কোনও দিন সুযোগ এলে অবশ্যই বিবেচনা করব।”