সলমন খান রেগে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাইয়ের উপরে? ছবি: সংগৃহীত।
সলমন খান-ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন তখন প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। নায়িকার যেখানেই শুটিং, সেখানেই নায়ক পৌঁছে যান। একসঙ্গে সময় কাটান তাঁরা। নির্দিষ্ট সময় পরে ‘ভাইজান’ ফিরে যান নিজের বাড়িতে। এমনই এক দিন ঐশ্বর্যার সঙ্গে দেখা করতে এসে নাকি প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন সলমন। রাগের চোটে প্রিয় নায়িকাকে নাকি ‘কুৎসিত’ বলতেও বাধেনি তাঁর!
এ কথা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী হিমানি শিবপুরী। তিনি সলমন-ঐশ্বর্যার প্রেমের সাক্ষী। দু’জনের সঙ্গে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে কাজ করেছেন। তা ছাড়াও, নায়িকার সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘আ অব লট চলে’, ‘হমারে দিল আপকে পাস হ্যায়’, ‘উমরাও জান’ ছবিতে। তখন তিনি এবং ঐশ্বর্যা ফিল্ম সিটিতে ‘উমরাও জান’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। নায়িকার বিপরীতে অভিষেক বচ্চন। তখন রোজ রাতে সলমন সেটে আসতেন। সারা রাত নায়িকার কাছে থাকতেন। ভোরে চলে যেতেন।
একদিন এসে তিনি দেখেন ঐশ্বর্যর সঙ্গে অভিষেক! ব্যস, আগুনে ঘৃতাহুতি। হিমানির দাবি, সে দিন নিজেকে সামলাতে পারেননি সলমন। প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন। আর চিৎকার করে তাঁকে বলেছিলেন, “নিজেকে কী মনে করে বলো তো? বিশ্বসুন্দরী? ওকে বোঝাও। বলো, ওয়াহিদা রহমানের অল্প বয়সের ছবি দেখতে।” ‘ভাইজান’কে সে দিন অতি কষ্টে সামলেছিলেন হিমানি। বুঝিয়েছিলেন, কোনও কিছু খারাপ লাগলেও সব সময় তা প্রকাশ করতে নেই।