শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে কী মন্তব্য জাহ্নবী-ধনুষের? ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লির রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে পথকুকুর, নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের। তাদের রাখতে হবে নির্দিষ্ট আশ্রয়স্থলে (শেল্টার)। শীর্ষ আদালতের এই রায় প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পশুপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রতিক্রিয়া। সমাজমাধ্যমে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তরজা শুরু হয়েছে। এ বার উষ্মা প্রকাশ করলেন জাহ্নবী কপূর ও বরুণ ধওয়ানেরা।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানায়, দিল্লি থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে পথকুকুরদের। তাদের স্থানান্তরিত করা হবে অন্যত্র। কোনও ভাবেই যেন তারা পুরনো এলাকায় ফিরে না আসে।
এর পরই জাহ্নবী বলেন, ‘‘ওদের কাছে এটা বিপদ। আমরা এটাকে হৃদস্পন্দন বলি। আজ, শীর্ষ আদালত দিল্লি-এনসিআরের রাস্তা থেকে প্রতিটি পথ কুকুরকে সরিয়ে দেওয়ার এবং তাদের খাঁচা বন্দি করার নির্দেশ দিয়েছে যেখানে সূর্যের আলো নেই। স্বাধীনতা নেই। প্রতিদিন সকালে ওদের কোনও পরিচিত মুখ স্বাগত জানায় না। কিন্তু এরা কেবল পথ কুকুর নয়। এরা আপনার চায়ের দোকানের বাইরে বিস্কুটের জন্য অপেক্ষা করে। এরা দোকানদারদের জন্য রাতের প্রহরী। এরা হল ঠান্ডা, উদাসীন শহরের উষ্ণতা।’’ তবে জাহ্নবী দাবি করেন, ‘‘ হ্যাঁ কিছু সমস্যা আছে যেমন টিকাকরণ করানো, ওরা কামড়াতে পারে। কিন্তু তাই বলে একটা গোটা প্রজাতিকে খাঁচাবন্দি করাটা মানা যায় না। আজ কুকুরের উপর হচ্ছে, কে জানে কাল কী হবে!” প্রতিবাদের ডাকও দিয়েছেন অভিনেত্রী। কুকুরের ভাষা নেই, তাই তাদের হয়ে কণ্ঠ ছাড়তে হবে মানুষকেই, দাবি তাঁর। একই মত বরুণের। জাহ্নবীর পোস্টটিই ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
দিনের পর দিন রাস্তায় সারমেয়দের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই প্রসঙ্গে রবীনা টন্ডন বলেছেন, “কুকুরের সংখ্যা বেড়ে চলেছে ঠিকই। কিন্তু তার জন্য তো নিরীহ অবোলা কুকুরগুলিকে দোষারোপ করা যায় না। অথচ, স্থানীয় প্রশাসন এদের টিকাকরণ বা নির্বীজকরণের প্রয়োজনীয়তা অনুভবই করেনি।”