Exclusive interview

‘নুসরত আর আমি এক সঙ্গে প্রচার করব, জয় আমার হবেই’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পরেই মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। রাত একটায় আবার ফোন চালু হয়। নাম ঘোষণার পরের দিন রাতে তাঁর আগামী ছবি 'মন জানে না'-র প্রযোজক সংস্থার অফিসে তিনি মুখোমুখি আনন্দবাজার ডিজিটালের সামনে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পরেই মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। রাত একটায় আবার ফোন চালু হয়। নাম ঘোষণার পরের দিন রাতে তাঁর আগামী ছবি 'মন জানে না'-র প্রযোজক সংস্থার অফিসে তিনি মুখোমুখি আনন্দবাজার ডিজিটালের সামনে।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ১০:৩৫
Share:

প্রচারের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই নুসরতের সঙ্গে প্ল্যান করে ফেলেছেন মিমি।

প্রশ্ন: এ বার দোল কি নীল আর সবুজ আবীর দিয়ে খেলবেন?
মিমি: (হাসি) কেন? রং তো রংই শুধু।

প্রশ্ন: এই যে এখনই আবীর চট্টোপাধ্যায় বলছিলেন, 'দিদি একটু দেখবেন এ বার'। ইন্ডাস্ট্রি থেকে এমন 'একটু দেখবেন' আর ক'জন বললেন?
মিমি: সবে তো একটা দিন হল। বিষয়টা ওরকম না। তবে আবীরদা বরাবর আমার কাজে সাপোর্টিভ। তাই মজা করেছে।

Advertisement

প্রশ্ন: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ফোন পাননি?
মিমি: নাহ। এখনও পাইনি।

প্রশ্ন: আজকে হলদে ঝকঝকে কামিজ। আর সাদা চুড়িদার। নাম ঘোষণাতেই তো দেখছি ইনস্টাগ্রামের কায়দার ওয়েস্টার্ন পোশাকের সেই মিমি উধাও!
মিমি: একেবারেই না। সিনেমা আমার আইডেনটিটি। অভিনয়ের জন্য, আমার কাজের জন্যই আজ এই সুযোগ আমার কাছে এসেছে। সিনেমা না করলে এটা সম্ভব হত না। লোকে যদি এখন আমায় জাজ করে, ইনস্টাগ্রামে এই পোশাক কেন? তা হলে মুশকিল! আমি তো ২৪ ঘণ্টায় বদলে যেতে পারি না।

প্রশ্ন: আজ তো সব সাংসদের মিটিং ছিল। কেমন হল?
মিমি: খুব ভাল। আমি মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। সব সাংসদের সঙ্গে আলাপ হল। খুব এক্সাইটেড আমি। অন্য একটা জগত! অনেক চ্যালেঞ্জ। আর সবাই জানে আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি।

প্রশ্ন: অনেক কিছু নতুন আসছে আপনার জীবনে। গান রেকর্ড করলেন এই প্রথম ছবির জন্য।
মিমি: হ্যাঁ হঠাৎ করে ঠিক হল। খুব ভাল লেগেছে গান গেয়ে। ১৬ মার্চ গান রিলিজ হবে। দর্শকদের ভাল লাগলে, গান হিট হলে আবার গাইব। এই তো আজ মীরের সামনে এক লাইন গাইলাম। মীর তো পুরো অবাক! দেখি কী হয়!

প্রশ্ন: দোলে কেন এরকম রোম্যান্টিক থ্রিলার ছবি আসছে?
মিমি: আগে থেকে কিছু ঠিক ছিল না। দেখা গেল দোলে কোনও ছবি নেই। 'মন জানে না'-র কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই এই সিদ্ধান্ত।

প্রশ্ন: দোলে তা হলে ছবি মুক্তি উপলক্ষ্যে কেউ লাল রং মাখাতে এলে মাখবেন?
মিমি: আরে রং তো রংই। আমি যেমন আছি তেমনই থাকব।

Advertisement

প্রশ্ন: কিন্তু আপনার প্রাইভেট নম্বর ২৪ ঘণ্টায় লোকাল হয়ে গিয়েছে তো! কী করবেন?
মিমি: এটা ঠিক। ফোনটা বেজে যাচ্ছে। বেশির ভাগই আননোন নম্বর। একটু ছবির কথা বলি?

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রশ্ন: বেশ! এই ছবিতে একজন ড্রাগ অ্যাডিক্ট মহিলার চরিত্রে আপনি...
মিমি: খুব ইন্টারেস্টিং চরিত্র। এই ধারার মানুষকে তো কাছ থেকে দেখা যায় না। তবে পরিচালক সাগুফতা আমায় বেশ কিছু ডকুমেন্টারি দেখিয়েছিল। দেখেছি। এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনাও করেছি।

প্রশ্ন: যশ-এর সঙ্গে আবার কাজ করলেন...
মিমি: হ্যাঁ, তবে যশ এ ছবিতে একেবারে ডি গ্ল্যাম চরিত্রে। দাড়ি রেখেছে। সাধারণ একটা ট্যাক্সি ড্রাইভারের চরিত্র। আমার ওর সঙ্গে কাজ করার সূত্রে একটা বন্ডিং আছে। সেটা এই ছবিতে হেল্প করেছে। খুব ভাল কাজ করেছে ও। এই ছবির গল্পই আসল জানেন।

আরও পড়ুন: মিমিরা ভোটে! বিকৃতির উল্লাস নেট-দুনিয়ায়

(ইতিমধ্যে বিশেষ ফোন এল মিমির কাছে। ম্যাডামকে অনুরোধ করা হল তাঁর সিকিউরিটির আবেদন জানাতে।)

প্রশ্ন: আপনি না বদলালেও ২৪ ঘণ্টায় সোশ্যাল মিডিয়া তো বদলে গিয়েছে। আপনার নাম থেকে যদি 'ই' টা বাদ দেন...
মিমি: আপনি মিমের কথা বলছেন তো? আমি শুনেছি। ওই মিম দেখার সময় পাইনি। ছবির প্রমোশন আর পলিটিকাল মিটিং, দুটো সমানতালে সামলাতে হচ্ছে তো! তবে আমার সিনেমার ছবিগুলো কেটে কেটেই তো মিম তৈরি হয়েছে। সিনেমা আমার পেশা। ব্রেড অ্যান্ড বাটার। যাদের প্রচুর সময় তারা মিম করছে। ভালই তো প্রচার হয়ে যাচ্ছে।

প্রশ্ন: পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তকে দেখছিলাম কেমন একটা লস্ট মুখ করে ঘুরছেন। আপনি তো ওঁর নতুন ছবি 'বিবাহ অভিযান' এর নায়িকা। ডেট নিয়ে তো সমস্যা হবে এ বার!
মিমি: দেখুন কিছু ডেট-এর রদবদল হবে। সেটা তো করতেই হবে।

প্রশ্ন: সমালোচনাও হচ্ছে তো ফিল্মস্টারের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে।
মিমি: কী রকম সমালোচনা?

প্রশ্ন: নিন্দুকেরা বলছেন আপনি রাজনীতির কিছু জানেন না। যাদবপুরের মতো অঞ্চলের শিক্ষিত মানুষদের আপনি কেমন করে নিজের পক্ষে আনবেন?
মিমি: দেখুন আমি আনকন্ডিশনাল লাভ-এ আস্থা রাখি। মানুষকে ভালবেসে তাদের উপকারে এলে মানুষ নিশ্চই আমার পাশে থাকবেন। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর আমি তো কাজ পাগল মানুষ। দলের নির্দেশে কাজ করব। আগেও তো বহু ফিল্মস্টার রাজনীতিতে এসছেন। আপনি বলুন না...

আগেও তো বহু ফিল্মস্টার রাজনীতিতে এসছেন। দলের নির্দেশে কাজ করব। বলছেন মিমি।— নিজস্ব চিত্র।

প্রশ্ন: হুম। জয়ললিতা, করুণানিধি...
মিমি: দেবকে দেখুন। ঘাটালে ফাটিয়ে কাজ করেছে। ছবি করছে। প্রযোজনা সংস্থায় মন দিয়েছে। চাইলে মানুষ সব পারে। রাজনীতিতে দেব আমার অনুপ্রেরণা।

প্রশ্ন: লোকসভা নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী হিসেবে আপনি কী কী পেতে পারেন? কত টাকা? সুযোগ সুবিধে...
মিমি: বিশ্বাস করুন ছবিটা এখনও স্পষ্ট নয়। আমি জীবনে হিসাব করে তো চলিনি যে জেনে নেবো জিতলে কী কী পাব? আমার কোনও ধারণাই নেই এই বিষয়ে।

আরও পড়ুন: স্বচ্ছ থাকুন, প্রার্থীদের নির্দেশ দিলেন মমতা

প্রশ্ন: নুসরত কি খুশি?
মিমি: খুব। ও তো চেয়েছিল আমি এই জায়গাটা পাই। কাল থেকেই হয়তো প্রচারে বেরোতে হবে।

প্রশ্ন: নুসরত আপনার সঙ্গে প্রচারে থাকবে নাকি?
মিমি: হ্যাঁ। আমরা তো প্ল্যান করেই ফেলেছি। ওর এলাকায় ওর হয়ে আমি প্রচার করব আর আমার এলাকায় ও আমার সঙ্গে থাকবে। মজা করে কাজটা করব।

প্রশ্ন: রাজনীতির বক্স অফিসেও কি মিমি চক্রবর্তী জয় ছিনিয়ে আনবেন?
মিমি: আমি নিশ্চিত এই যুদ্ধে জয় আমারই হবে।

(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের সমস্ত গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন