শোকস্তব্ধ রুক্মিণী মৈত্র, দিতিপ্রিয়া রায়, দিব্যজ্যোতি দত্ত, দেবলীনা দত্ত। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
শারদীয়ার উদ্যাপন শেষ। বাঙালির ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন। এ বছরের উদ্যাপনে শোকের ছায়া। আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। সেই শোক দক্ষিণবঙ্গের সমতলেও। সাধারণের পাশাপাশি খ্যাতনামীরাও প্রকৃতিকে শান্ত হওয়ার প্রার্থনা জানাচ্ছেন। অনেকে পুজোর আনন্দে রাশ টেনেছেন।
যেমন, রুক্মিণী মৈত্র। লক্ষ্মীপুজোর দিন তাঁর আগামী ছবি ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-এর ঝলকমুক্তির কথা ছিল। উত্তরবঙ্গের বন্যায় বিপর্যস্তদের জন্য এ দিন তিনি তা স্থগিত রেখেছেন। এক বার্তায় বড়পর্দার ‘বিনোদিনী’ জানিয়েছেন, “উত্তরবঙ্গের জন্য প্রাণ কাঁদছে। ওখানকার বাসিন্দাদের কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছা করছে। আজ তাই ঝলকমুক্তি স্থগিত রাখা হল। পরিস্থিতি আগে স্বাভাবিক হোক।” একই প্রার্থনা সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রেরও। তিনি প্রকৃতিকে শান্ত হওয়ার প্রার্থনা জানিয়েছেন। শোকপ্রকাশ করেছেন পরিচালক-প্রযোজক-অভিনেতা শ্রীলেখা মিত্র। তাঁর মতে, “এমন আবহে উৎসব পালন করতে পারেন একমাত্র অনুভূতিহীন, অসংবেদনশীল মনের মানুষেরাই।”
পুজোর আবহে ছুটি পাননি দিতিপ্রিয়া রায়। তিনি শুটিংয়ে ব্যস্ত। আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করতেই তিনি বললেন, “আমাদের অনেক আত্মীয়, পরিচিত উত্তরবঙ্গে থাকেন। তাঁরা কী ভাবে আছেন জানি না। ফোনে খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। সুযোগ পেলেই পাহাড়ে বেড়াতে যাই। সেখানকার এই পরিস্থিতি দেখেশুনে খুব মনখারাপ।” তার পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বলেছেন, “আমরা নির্বিচারে গাছ কাটব। প্রকৃতি তো শোধ নেবেই!”
শনিবার থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার একদিন আগে পাহাড় থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ফিরেছেন ছোটপর্দার ‘সূর্য’ দিব্যজ্যোতির ভাই। নায়ক বললেন, “আমরা বলাবলি করছি, ভাইয়েরা কপালজোরে প্রাণে বেঁচে গেল। কিন্তু কত অসহায় মানুষ তলিয়ে গেলেন জলের নীচে।” বছরের শুরু থেকেই একের পর এক অঘটন। মানসিক দিক থেকে তাই ভাল নেই তিনি, জানালেন দিব্যজ্যোতি।
খুব মনখারাপ দেবলীনা দত্তেরও। তিনিও পাহাড় ভালবাসেন। ছুটি পেলে পৌঁছে যান সেখানে। “আমার প্রিয় অ়ঞ্চলের মানুষেরা বিপদে। আমার প্রাণ কাঁদছে। ওঁদের কাছে পৌঁছোতে পারছি না। দূর থেকে তাই সকলের জন্য দেবীর কাছে মঙ্গলকামনা করছি”, বললেন তিনি।