Javed Akhtar on India-Pakistan Tension

পাকিস্তানে কি হিন্দু নাগরিক নেই! প্রতিবেশী সেনার বিরুদ্ধে ক্ষোভে জাভেদ টানলেন কার্গিল প্রসঙ্গ

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ দাবি করেন, প্রতিবেশী দেশের সেনাপ্রধানের বক্তব্য তাঁর খুবই খারাপ লেগেছে। সমাজমাধ্যমে সেই ভাষণ শুনে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৫ ১৩:০৮
Share:

পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিক, বিশেষত হিন্দুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাভেদ আখতার। ছবি: সংগৃহীত।

সমাজ বা রাজনীতি যে কোনও ক্ষেত্রে নিজের মতপ্রকাশ করেন জাভেদ আখতার। অনেক সময়ই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কারণে তিনি চক্ষুশূল হয়েছেন প্রতিক্রিয়াশীল সমাজের। বরাবর ধর্ম নিয়ে রাজনীতির বিরোধিতা করেছেন লেখক। এ বার সেই একই জায়গায় বিঁধলেন পাকিস্তানি সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে।

Advertisement

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ দাবি করেন, প্রতিবেশী দেশের সেনাপ্রধানের বক্তব্য তাঁর খুবই খারাপ লেগেছে। সমাজমাধ্যমে সেই ভাষণ শুনে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি চিন্তিত পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকের পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি বলেন, “কোনও দেশের সমস্ত মানুষ একই রকম হতে পারেন না। যদি কোনও দেশের সরকার খারাপ হয়, তা হলে তার প্রভাব সবার আগে নাগরিকের উপরই পড়বে। আমাদের বিরোধ শুধু সরকার, সেনা আর কট্টরপন্থীদের সঙ্গে হওয়া উচিত। যাঁরা তাদের কারণেই বিপদে পড়েছেন, সেই নিরপরাধ নাগরিকের প্রতি আমাদের সমবেদনা থাকা প্রয়োজন।”

জাভেদ দাবি করেন, ইউটিউবে পাক সেনাপ্রধানের উস্কানিমূলক মন্তব্য শুনে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, “কী অসংবেদনশীল মানুষ! যদি মনে হয় ভারতীয়েরা খারাপ, তা হলে তাঁদের গালিগালাজ করতে পারেন। কিন্তু ‘হিন্দু’দের গালি দিচ্ছেন কেন? ওঁরা কি জানেন না, পাকিস্তানেও বহু হিন্দু নাগরিক রয়েছেন! নিজের দেশের নাগরিকের সম্মানও বজায় রাখবেন না? কেমন মানুষ? কী বলছেন, কোনও বোধ নেই!”

Advertisement

এ প্রসঙ্গেই জাভেদ তুলে আনেন কার্গিল প্রসঙ্গ। ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমাদের কোনও সৈনিক মৃত্যুবরণ করলে আমরা সেলাম করি। কিন্তু যখন কার্গিলে পাকিস্তানি সৈনিকের মৃত্যু হয়েছিল তখন শবদেহ নিয়ে দেশে ফিরিয়ে নিতেও অস্বীকার করে সে দেশের প্রশাসন। ভারতীয়েরা ওঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছিলেন সে বার।” প্রাথমিক ভাবে সেনাদের মৃতদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার তরফে ছবি প্রকাশ করা হলে পরবর্তী কালে তারা মেনে নিতে বাধ্য হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement