ভাইকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
ভাই অমিতাভ চক্রবর্তীকে হারালেন বারাসতের বিধায়ক-অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। আনন্দবাজার ডট কমকে বর্ষীয়ান অভিনেতা জানিয়েছেন, দিন তিনেক আগে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন তাঁর ভাই। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ। বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। ভাইয়ের কথা বলতে বলতে গলা ধরে এসেছে অভিনেতার। বলেছেন, “কত স্মৃতি ওর সঙ্গে। ছোটবেলায় অমিতাভকে কোলে নিয়ে কত ঘুরেছি। সেই ভাইয়ের শ্মশানযাত্রা দেখতে হল! মানতে পারছি না।”
চিরঞ্জিৎ আরও জানিয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে তাঁর ভাইয়ের শারীরিক কোনও সমস্যা ছিল না। মাঝে বুকে সামান্য অস্বস্তি বোধ করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে ইসিজি করা হয়। পরীক্ষায় কিন্তু কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। যদিও চিকিৎসক ইকো কার্ডিওগ্রাম করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু তা আর করাননি অমিতাভ।
ঘটনার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অমিতাভ স্ত্রীকে জানান, আগের রাতে তাঁর ঘুম ভাল হয়েছে। শরীর ঝরঝরে। দু’জনের কথোপকথনের মধ্যেই দরজায় ঘন্টি বাজে। স্ত্রী আগন্তুকের সঙ্গে কথা বলে এসে দেখেন, অমিতাভ ফের শুয়ে পড়েছেন। চোখ বন্ধ। প্রাথমিক ভাবে কিছুই বুঝতে পারেননি অভিনেতার ভ্রাতৃবধূ। বরং বাড়িতে যে পরিচিত এসেছিলেন তাঁর কথা বলে স্বামীকে ডাকতে থাকেন।
সাড়া মেলেনি। অভিনেতার আফসোস, “কাউকে বিরক্ত করল না। নিজেও ভুগল না। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু। অমিতাভের মতো মৃত্যু অনেকের কাছেই হয়তো কাম্য। যেন মনে হল, টা-টা করে চলে গেল!”
বিশিষ্ট কবি, চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তীর সাত সন্তান। চিরঞ্জিতের কথায়, “বড়দার পরে চার বোন। তার পর আমি, আমার ভাই। গোলপার্কে আমাদের বাড়ি রয়েছে। সেখানে এক দিদির সঙ্গে অমিতাভ থাকত। নিয়মিত কথা হত আমাদের।” অমিতাভ নিজেও পেশায় কমার্শিয়াল আর্টিস্ট। অনেক সংস্থার সঙ্গে কাজ করার পর নিজস্ব সংস্থা খুলেছিলেন তিনি।