গ্ল্যামার দুনিয়ায় সম্পর্কের ভাঙা-গড়া চলতেই থাকে। চার হাত এক হলেও জীবনের প্রথম বিয়ে টেকেনি এমন অনেক তারকাই রয়েছেন টেলি দুনিয়ায়। সম্পর্কের তিক্ততা থেকে বেরিয়ে এসে ফের নতুন সঙ্গীর হাত ধরেছেন তাঁরা। গ্যালারির পাতায় রইল এমনই কিছু তারকার নাম।
শেফালি শাহ: ‘রঙ্গিলা’ সিনেমা দিয়েই বড় পর্দায় হাতেখড়ি শেফালির। ১৯৯৭ সালে বিয়ে করেন টেলি তারকা হর্ষ ছায়াকে। কিন্তু, সেই সম্পর্ক টেকেনি। ২০০১ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় দু’জনের। পরে, প্রযোজক বিপুল শাহের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন শেফালি। শেফালি-বিপুলের দু’টি সন্তানও রয়েছে।
সমীর সোনি: বিয়ের ছ’মাসের মধ্যেই মডেল রাজলক্ষ্মী রায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় মডেল এবং অভিনেতা সমীর সোনির। এর পর তিনি অবসাদে চলে যান বলে জানান সমীর। ২০১১ সালে প্রাক্তন অভিনেত্রী নীলমকে বিয়ে করেন সমীর। নীলমকে পেয়ে প্রথম সম্পর্ক ভাঙার অবসাদ থেকে বেরিয়ে এসেছেন বলেও জানান সমীর। ২০১৩ সালে একটি মেয়েকে দত্তক নেন তাঁরা।
রেণুকা সাহানে: তাঁর মিষ্টি হাসি দর্শমহলে সাড়া জাগিয়েছে বহু দিন। টেলি দুনিয়া থেকে রূপোলি পর্দা, দাপটে অভিনয়ে করেছেন নায়িকা। প্রথম সম্পর্ক ভেঙে গেলেও দমে যাননি তিনি। অভিনেতা আশুতোষ রানার সঙ্গে ফের গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। আশুতোষই তাঁর আদর্শ জীবনসঙ্গী, এমনটা বহু বার জানিয়েছেন রেণুকা।
রণিত রায়: মেয়ের জন্মের ছ’মাসের মধ্যেই দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ইতি টানেন ওনা এবং রণিত। প্রথম সম্পর্ক জীবনে অনেক কিছু শিখিয়েছে বলে জানিয়েছেন রণিত। ২০০৩ সালে ফের নীলম বসুর সঙ্গে চার হাত এক হয় তাঁর। গত ১১ বছর ধরে একই সঙ্গে রয়েছেন রণিত-নীলম।
দীপশিখা নাগপাল: টেলি ধারাবাহিক ছাড়া বড় পর্দাতেও পরিচিত মুখ দীপশিখা। ১৯৯৭ সালে জিৎ উপেন্দ্রর সঙ্গে পথ চলা শুরু হলেও ২০০৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। প্রথম পক্ষের দু’টি সন্তান রয়েছে দীপশিখার। ২০১২ সালে মডেল এবং অভিনেতা কৈশব অরোরার সঙ্গে চার হাত এক হয় তাঁর। শেষ ছ’বছর এক সঙ্গেই রয়েছেন তাঁরা।
হিতেন তেজওয়ানি: বিয়ের ১১ মাসের মাথায় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় হিতেনের। পরে, সহ অভিনেতা এবং বান্ধবী গৌরির সঙ্গে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন তিনি।
কর্ণ সিংহ গ্রোভার: বি-টাউনে বরাবরই কর্ণের ‘লাভার বয়’ ইমেজ রয়েছে। তিন বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন কর্ণ। প্রথম বিয়ে হয় শ্রদ্ধা নিগমের সঙ্গে ২০০৮ সালে। কিন্তু ১০ মাসের মাথায় বিচ্ছেদ হয়ে যায়। জেনিফার উইনজেটের সঙ্গে বিয়েও বেশিদিন টেকেনি। ২০১৬ সালে বিপাশা বসুর সঙ্গে ফের চার হাত এক হয় কর্ণের। এখনও পর্যন্ত তাঁরা একসঙ্গেই রয়েছেন।
মানিনি দে মিশ্র: প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর টেলি তারকা মিহির মিশ্রর সঙ্গে চার হাত এক হয় ‘জস্সি জ্যায়সি কোই নেহি’ খ্যাত ‘পরী’র। টেলিদুনিয়ার সবচেয়ে হ্যাপি কাপলের মধ্যে নাম রয়েছে মিহির-মানিনির।