Pallavi Chatterjee

প্রসেনজিতের বোনের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৯ লাখ টাকা, পল্লবী ফোন করে জানলেন ‘তিনি মৃত’!

পল্লবী চট্টোপাধ্যায় নাকি মৃত। এমনই তথ্য দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়েছে ১০ লাখ টাকার কাছাকাছি! ঘটনায় হতবাক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বোন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:১৮
Share:

জালিয়াতির শিকার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

পল্লবী চট্টোপাধ্যায় অভিনেতা-প্রযোজক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বোন। তিনি নাকি মৃত। তাঁর মৃত্যুর দাবি করেই অভিনেত্রী পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হলেন অভিনেত্রী। গোটা ঘটনায় হতবাক তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজর অনলাইনকে অভিনেত্রী জানান, তাঁর শরৎ বোস রোডের অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে একটি পিপিএফ ফান্ড ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরেই সেখানে সঞ্চিত অর্থ জমা করছেন। আচমকাই ব্যাঙ্ক মারফত জানতে পারেন, তাঁর ওই অ্যাকাউন্ট নাকি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এত দূর পর্যন্ত এক রকম ছিল। কিন্তু এই ঘটনার মোড় ঘুরে যায় যখন অভিনেত্রী জানতে পারেন, তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের সব গচ্ছিত অর্থ উধাও। অভিনেত্রী মৃত, এই দাবি করেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় হতবাক পল্লবী।

পল্লবীর কথায়, ‘‘আমি জানতে চেয়েছি ব্যাঙ্কের কাছে আমি যদি মৃত হই, তা হলে তো আমার মৃত্যুর শংসাপত্র দেখাতে হবে। সেটা কোথায়? সদুত্তর পাইনি। আসলে এটা বড় একটা জালিয়াতির চক্র চলছে। কেন্দ্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটা ব্যবস্থায় এত বড় জালিয়াতি! আজ আমার সঙ্গে হয়েছে। হয়তো আরও অনেকের সঙ্গেই হচ্ছে, আমরা জানতে পারছি না। আমি এই ঘটনায় আমাদের দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে যেতেই পারতাম। কিন্তু এমন একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় এই রকম প্রতারণা? আমি বিস্মিত।’’

Advertisement

গোটা ঘটনার পর কড়েয়া থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন অভিনেত্রী। তবে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে পল্লবীকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬ থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে। ঘটনার আকস্মিকতায় টাকা আদৌ পাবেন কি না, সন্দেহ রয়েছে অভিনেত্রীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন