Kanchan Mullick

Sabitri Chatterjee: সত্যিটা কী জানি না, তবে পিঙ্কিকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছে, জানালেন কাঞ্চনের দিদিশাশুড়ি সাবিত্রী

মুখ না খুলেই কাঞ্চনের চোখে আমরা দোষী, দাবি সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২১ ২১:২০
Share:

পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।

টলিউডে আপাতত জোর চর্চা কাঞ্চন মল্লিক-পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়-শ্রীময়ী চট্টরাজকে নিয়ে। খবর, বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনে রবিবারেই নিউ আলিপুর থানায় স্বামী কাঞ্চনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন পিঙ্কি। পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন পিঙ্কির সম্পর্কিত ঠাকুমা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে কিংবদন্তি অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যে কিছুই জানি না। তবে পিঙ্কিকে নিয়ে আমার বেশ চিন্তা হচ্ছে।’’

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় পিঙ্কির বাবার মাসি। সেই সূত্রে তিনি কাঞ্চনের দিদিশাশুড়ি। ৮০ ছুঁই ছুঁই অভিনেত্রী প্রথম মুখ খুলেছেন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘পিঙ্কিকে খুঁজতে কাঞ্চন আমার কাছেও এসেছিল। যদিও সেই সময় পিঙ্কি নিউ আলিপুরে ছিল না।’’ অভিনেত্রীর বক্তব্য, পিঙ্কির ছোটবেলার বেশির ভাগ সময় কেটেছে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর কাছেই পিঙ্কি বড় হয়েছেন। বিয়ের পর কাঞ্চনও অনেকবার এসেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সময়ও কাটিয়ে গিয়েছেন। তাঁর মতে, কাঞ্চনের কথাবার্তা এক বারের জন্যেও তাঁর খারাপ লাগেনি। নাতজামাই হিসেবে তিনি পছন্দ করতেন বিধায়ক-অভিনেতাকে। কোনও দিন কোনও গুজবও শোনেননি কাঞ্চনের নামে।

নাতনিকে ঠাকুমা হিসেবে তিনি কি কোনও পরামর্শ দেবেন? প্রবীণ অভিনেত্রীর ক্ষুব্ধ জবাব, ‘‘মুখ না খুলেই কাঞ্চনের চোখে আমরা দোষী। ওর ধারণা, আমরা নাকি সংবাদমাধ্যমের কাছে কাঞ্চনের নামে মিথ্যে অপবাদ রটিয়েছি। এখন কিছু বলতে গেলে আরও দোষের ভাগীদার হব। আমি তাই কাউকেই কিছু বলব না।’’

পিঙ্কি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা জানার পরেই ঠাকুমা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই খবর পেয়ে তিনি এবং তাঁর দাদা শনিবারেই দেখা করতে যান নিউ আলিপুরে, ঠাকুমার বাড়িতে। প্রবীণ অভিনেত্রীর কাছে জানতে পারেন, তাঁর খোঁজে শ্রীময়ীকে নিয়ে কাঞ্চন এসেছিলেন নিউ আলিপুরে। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় সেই সময় কাঞ্চনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, পিঙ্কি এখনই কথা বলতে না চাইলে কাঞ্চনের অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কাঞ্চন নাকি সে কথা মানতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন