তৈমুরের কাছে ক্ষমা চাইতে হয় সইফকে। ছবি: সংগৃহীত।
কিছু দিন আগে সইফ আলি খানের বাড়িতে মধ্যরাতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় হতবাক হয়ে যায় বলিউড। চুরিতে বাধা দিলে তারকাকে ছুরিকাঘাত করে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে যান সইফ। বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেও ভয় পায়নি সইফ-পুত্র তৈমুর। আট বছরের বালক বরং বাবার সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিল সে রাতে। তৈমুরের সাহস দেখে অবাক হয়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা। কিন্তু এই তৈমুরের কাছেই ক্ষমা চাইতে হয় অভিনেতাকে।
বিভিন্ন সময় করিনা জানিয়েছেন তাঁদের বড় ছেলে তৈমুরের স্বভাব একেবারে বাবার মতো। অন্য দিকে, ছোট ছেলে জেহ্ নাকি করিনার মতো। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সইফ বলেন, ‘‘আমি ছেলেকে ‘আদিপুরুষ’ ছবিটা দেখতে বসাই। কিছু ক্ষণ দেখার পর আমার দিকে এমন ভাবে তাকাল যে, আমি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলাম। সে ক্ষমা করে দিয়েছে বলল।’’ ২০২৩ সালে মুক্তি পায় ‘আদিপুরুষ’ ছবিটি। রাবণের চরিত্রে অভিনয় করেন সইফ। ছবির মুক্তির আগে থেকেই একাধিক বিতর্কে জড়ানোয় সে ভাবে প্রেক্ষাগৃহে চলেনি ছবি। বিস্তর সমালোচনাও হয় ছবির ভিএফএক্স নিয়ে।
জন্মের পর থেকেই বার বার চর্চায় উঠে এসেছে তৈমুর। ছবিশিকারিদের ক্যামেরাও সব সময় তাক করা থাকত তার দিকে। তবে হামলার ঘটনার পর থেকে পুত্র তৈমুর ও জেহ্কে আড়ালেই রাখছেন সইফ ও করিনা। ছবিশিকারিদের সামনেও আর দুই পুত্রকে আনছেন না তাঁরা।