ছবির ভালর জন্য নাক গলাই, মানছেন সুজিত

থাকেন কলকাতায়। কিন্তু কাজ আরব সাগরের পারে। ফুটবল ছাড়া জীবন চলে না! তবে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎও তাঁকে ভাবায়।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৩৭
Share:

থাকেন কলকাতায়। কিন্তু কাজ আরব সাগরের পারে। ফুটবল ছাড়া জীবন চলে না! তবে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎও তাঁকে ভাবায়। ‘পিঙ্ক’-এর সেই সুজিত সরকার এ বার ছবির মধ্যে থেকেও ক্যামেরার পিছনে নেই!

Advertisement

রহস্যটা কী?

সুজিত সরকারকে নিয়ে খবর হলে তো সেটা ‘পিঙ্ক’-এর সিক্যুয়েল নিয়ে হবে বলেই লোকে জানে। প্রশ্নটা করতেই বললেন, ‘‘পিঙ্ক-এর সিক্যুয়েল নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু আপাতত একটু অন্য পথে হাঁটছি। মুম্বইয়ে একটা রোম্যান্টিক কমেডি প্রযোজনা করছি, ‘রানিং শাদি ডট কম’।’’ তাতে পিঙ্ক–এর মতো সব বিষয়ে নাক গলানোর কাজটা তা হলে করছেন না? প্রশ্নটা শেষ না হতেই বললেন, ‘‘দেখুন, আজ আমি বলতে পারি, ‘পিঙ্ক’ আমার ছবি। ‘পিঙ্ক’-এ আমি যথেচ্ছ মাথা গলিয়েছি। সেটা করতে পেরেছি, তার কারণ অমিতাভ বচ্চনের মতো অভিনেতাও আমাকে ভরসা করেন, তাই! আর ভাল ছবি তৈরির জন্য এটুকু তো আমায়
করতেই হতো।’’

Advertisement

ভাল গল্প তাঁকে সব সময় উদ্বুদ্ধ করেছে। ‘রানিং শাদি ডট কম’-এর ছবির বিষয়ও খুবই সমসাময়িক। অমৃতসরের মতো ছোট্ট শহর। সেখানে একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে পাত্র-পাত্রী পালিয়ে যাচ্ছে। এ যে সে পালানো নয়। ছোট শহর। যেখানে জাতপাতের সমস্যা আছে। আর গোল পাকছে এখানেই। এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ দিকটা হল, বিয়ের জন্য কেমন করে পালাতে হয়, তার সব ফর্মুলার উপরে আলো ফেলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৯ বছর পর মুক্তি পাচ্ছে ফারহান আখতারের প্রথম সিনেমা

‘পিঙ্ক’-এর ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার তাঁর স্ট্র্যাটেজি বদলালেন। ‘রানিং শাদি ডট কম’–এর পরিচালক অমিত রায়ের মামা ছিলেন সুজিতের প্রথম শিক্ষক। এই ছবিতে প্রযোজকের ভূমিকায় আসার কারণও সেটাই বলে জানালেন সুজিত। ‘রানিং শাদি ডট কম’-এর অভিনেতা অমিত সাধ আর তাপসী পান্নুকে নিয়ে খুবই উৎসাহিত তিনি বললেন, ‘‘তাপসীর ক্ষেত্রে একটা কথা খুব মনে হয়, মুম্বই ইন্ডাস্ট্রির ‘করাপশন’-এর ছাপ ওর চোখে মুখে, অভিনয়ে কোত্থাও পড়েনি। এই ফ্রেশ লুকটা একটা ছবির জন্য খুব জরুরি।’’

ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে যা-ই মতামত থাক, বন্ধুদের বিষয়ে সুজিত স্পর্শকাতর। ‘‘টোনি (অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী), অনিন্দ্য (চট্টোপাধ্যায়) বা অনুপম (রায়)— সকলেই আমার বন্ধু। ওরা আমায় ভরসা করে। বন্ধুদের জন্য সব সময় আছি।’’ কিন্তু ‘ওপেনটি বায়োস্কোপ’-এর পর বাংলা ছবিতে তাঁর বন্ধুকৃত্যর অভাব দেখা গিয়েছে! তাঁর দাবি, বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাও আছে। সুজিতের মতে, বাংলা ছবি শেষ ‘লক্ষ্মী’ দেখেছে ‘প্রাক্তন’-এ। ‘ওপেনটি বায়োস্কোপ’ একশো পঁচিশ দিন চললেও হিসেব কষে জানালেন, ছবিটা মোটামুটি একটা ব্যবসা এনেছিল। তা হলে বাংলা ছবি এগোবে কী করে? সুজিত বললেন, ‘‘ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে স্ট্র্যাটেজি বদলাতে হবে। আর সিঙ্গল স্ক্রিন-এর বাজার ফেরাতেই হবে। নইলে মুশকিল।’’ বাংলায় ছবি করার জন্য ভাল গল্প খুঁজছেন সুজিত।

আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে উধম সিংহকে নিয়ে একটা স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলেছিলেন। লড়াকু এই স্বাধীনতা স‌ংগ্রামীকে লোকে ভুলেই গিয়েছে। সুজিত তাঁর লড়াই, দেশের মাটি আর মৃত্যুর গল্প এ বার আজকের প্রজন্মের জন্য নিয়ে আসছেন সেলুলয়েডে। চারদিকে রটে গেলেও উধম সিংহের ভূমিকায় তিনি যে মোটেই রণবীর কপূরকে ভাবেননি, সে কথাও সাফ জানিয়ে দিলেন সুজিত।

আরও পড়ুন: ‘হ্যালো ওয়ার্ল্ড’ জানিয়ে আত্মপ্রকাশ শাহিদের মেয়ের

‘উধম সিং’–এর কাজ করতে করতেই ‘পিঙ্ক’-এর স্ক্রিপ্ট রাইটার জুহি চতুর্বেদীর সঙ্গে একটা প্রেমের ছবি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন ‘মাদ্রাজ কাফে’র পরিচালক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement