ডিম্বাণু সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন কটাক্ষের শিকার হন শর্মিলা-কন্যা সোহা? ছবি: সংগৃহীত।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ৩০ বছর বয়স থেকে ডিম্বাণু সংরক্ষণ শুরু করেন। অভিনেত্রী সোহা আলি খানও ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। যদিও তাঁর পক্ষে বিষয়টা সহজ হয়নি। চিকিৎসকের কাছে তাঁকে শুনতে হয়, ‘‘জরায়ু তো আপনার মুখ দেখতে পারছে না!’’ সোহার মা হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে, বয়স নিয়ে খোঁটাও দেন চিকিৎসক।
এখন অনেক মহিলাই মা হতে চান, তবে নিজের সুবিধামতো সময়ে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখছেন, এমন নারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তারকাদের পাশাপাশি তালিকায় সাধারণ মানুষও। এই ভাবনা থেকেই ডিম্বাণু সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন সোহাও।
অভিনেত্রীর আক্ষেপ, একটা সময় ভারতে ‘ফার্টিলিটি সেন্টার’ সে ভাবে না থাকায় নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসক তাঁকে জানিয়েও দিয়েছিলেন, ডিম্বাণু সংরক্ষণ করার প্রকৃত বয়স ২৮ থেকে ৩৪-এর মধ্যে। অভিনেত্রী সেই বয়সসীমা অতিক্রম করে ফেলেছিলেন। তাই নাকি কটাক্ষের শিকারও হন সোহা। যদিও এই ঘটনার তিন বছর পর মা হন তিনি। তবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না কি সারোগেসির মাধ্যমে কন্যা ইনায়ার জন্ম দিয়েছেন, তা গোপন রেখেছেন সোহা।