আজান নিয়ে সোনুর টুইটে ধুন্ধুমার

লাউডস্পিকারে আজান পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক উস্কে দিলেন গায়ক সোনু নিগম।সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ টুইটারে নিজের পেজে কয়েকটি টুইট করেন সোনু। লেখেন, ‘‘আমি মুসলিম নই, তবুও রোজ আজানে আমার ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়া হয়। জোর করে ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার এই রীতি কবে বন্ধ হবে?’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫৭
Share:

লাউডস্পিকারে আজান পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক উস্কে দিলেন গায়ক সোনু নিগম।

Advertisement

সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ টুইটারে নিজের পেজে কয়েকটি টুইট করেন সোনু। লেখেন, ‘‘আমি মুসলিম নই, তবুও রোজ আজানে আমার ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়া হয়। জোর করে ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার এই রীতি কবে বন্ধ হবে?’’ বিতর্ক আরও বাড়িয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘যে মন্দির বা গুরুদ্বার বিদ্যুৎ ব্যবহার করে মানুষের ঘুম ভাঙায়, বিশেষ করে তাঁদের যাঁরা ওই ধর্মে বিশ্বাসী নন, আমি সে ধর্মপ্রতিষ্ঠান মানি না।’’ সর্বশেষ টুইটে একে ‘গুন্ডাগিরি’ও বলেছেন তিনি।

নিজের মতামত তো জানিয়ে দিলেন, কিন্তু তার কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা হয়তো ভাবেননি বলিউডের প্রথম সারির ওই গায়ক। টুইটগুলো পড়ে প্রথমে রীতিমতো অবাক হন তাঁর ভক্তেরা। তার পরেই গায়কের সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে বলে টুইটারেই পাল্টা ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।

Advertisement

বলিউডের অন্যান্য সঙ্গীতশিল্পীদের প্রতিক্রিয়া কী? সোনু নিগমের সঙ্গে একমত শান বলেছেন, ‘‘অন্যকে বিরক্ত না করে ধর্ম উদযাপন করার অধিকার সবার আছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে শব্দদূষণ এ বার বন্ধ করা উচিত।’’ কৈলাস খেরও বলেন, ‘‘ধর্ম কারও উপরে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’’

আজান শুনতে ভাল না লাগলেও ইসলাম নিয়ে সোনু আরও একটু সংবেদনশীল হতে পারতেন বলে বাবা সেহগালের টুইট, ‘‘বিষয়টি স্পর্শকাতর। শিখ হলেও আমার মুসলিম বন্ধু আছেন। তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত লাগে, এমন টুইট কখনওই করব না।’’ সোনা মহাপাত্রও বলেন, ‘‘বাঁচ আর বাঁচতে দাও। আমাদের একে অপরের ধর্ম নিয়ে একটু সংবেদনশীল হওয়া উচিত।’’ জুবিন নওটিয়ালের মত, ‘‘ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে মতের ফারাক থাকবেই। এটাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার মতো কিছু দেখছি না।’’

আরও পড়ুন:সমনামী হওয়ায় ‘নিগম’-এর বদলে ট্রোলড হলেন ‘সুদ’

সোনুর টুইট নিয়ে মুখ খুলেছেন পরিচালক, অভিনেতারাও। সোনু নিগমকে সমর্থন করে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী বলেন, ‘‘লাউডস্পিকারে আজান ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রার্থনা বন্ধ করার পক্ষে প্রচার করতে চাই।’’ আবার ‘আলিগড়’-এর লেখক অপূর্ব আসরানি টুইট করে বলেছেন, ‘‘ভোরে লাউডস্পিকারে আজান শোনা যেমন পছন্দ করব না, তেমনই সন্ধ্যায় ‘চিকনি চামেলি’-র সুরে গনেশ আরতিও শুনতে চাইব না। লাউডস্পিকারে ধর্মপ্রচার নিষিদ্ধ করা হোক।’’ সোনু নিগমের মতো একজন গায়ক যে ইসলাম ধর্ম নিয়ে এমন একটা পোস্ট করতে পারেন, তা ভেবেই বিস্মিত অনুপম খের। আবার এই ‘বোকা বোকা বিতর্কে’ তিনি অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন পরিচালক মহেশ ভট্ট।

এর মধ্যে এক প্রস্থ বিব্রত হয়েছেন আর এক বলিউড তারকা সোনু সুদ। অনেকেই সোনু নিগমের সঙ্গে তাঁকে গুলিয়ে ফেলে টুইটারে তাঁকেই আক্রমণ করে বসেন। পরে টুইট করে সোনু সুদ বলেন, ‘‘আমি এখনও বুঝতে পারছি না, কে কাকে কী বলেছে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন