এঁদের কারও বাবা বিখ্যাত অভিনেতা, কারও মা আবার টলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। কারও মা আবার ছোট পর্দার সুপারস্টার। কিন্তু টলিউডের বিখ্যাত এই সব বাবা-মায়ের ছেলেমেয়েরা? রূপোলি পর্দা তাদের কতটা আকর্ষণ করে তাদের? ভবিষ্যতের তারকা হওয়ার সম্ভাবনাই বা কতটা এই স্টার কিডদের? দেখে নেওয়া যাক।
অন্বেষা: স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে। কলেজ পড়ুয়া। পড়াশোনার সূত্রেই মুম্বইতে থাকেন তিনি। এক কথায় মায়ের বেস্টফ্রেন্ড। কিন্তু সিনেমায় অভিনয়? না! এখনও তেমন সম্ভাবনার কথা শোনা যায়নি।
ঝিনুক: শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে। শ্রাবন্তী অনেক সময় বলেছেন, মা, ছেলে এক সঙ্গেই বড় হয়েছেন। ঝিনুক এক কথায় শ্রাবন্তীর সাপোর্ট সিস্টেম। তবে মায়ের পেশাই ভবিষ্যতে বেছে নেবে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে জানা যায়নি।
তৃষাণজিত্: প্রসেনজিৎ এবং অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে থাকে। ছুটিতে কলকাতায় এলে বাড়িতে থাকাই তার পছন্দ। পারিবারিক অভিনয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলেও এখনও পর্যন্ত মিশুকের ইন্টারেস্ট স্পোর্টস বলেই শোনা যায়।
অঙ্কন চক্রবর্তী: ঋতুপর্ণার ছেলে পড়াশোনার সূত্রে দীর্ঘ দিন ধরে বাবা অর্থাত্ সঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে থাকে। এই স্টার কিডও অভিনয় নিয়ে কেরিয়ার তৈরি আগ্রহী নয় বলেই খবর।
সারা সেনগুপ্ত: যিশু এবং নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তর মেয়ে সারা ইতিমধ্যেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘উমা’র মাধ্যমে অভিনয়ে হাতেখড়ি করে ফেলেছে। কিন্তু আপাতত ফোকাসে পড়াশোনা। তবে যিশু বারবারই বলেন, আদৌ অভিনয়কেই পেশা হিসেবে নিয়ে চায় কিনা, সে সিদ্ধান্ত সারা নিজেই নেবে।
মেঘলা দাশগুপ্ত: বিদীপ্তা চক্রবর্তীর মেয়ে মেঘলার অভিনয় দর্শক দেখেছেন সৌকর্য ঘোষালের ‘লোডশেডিং’-এ। আবার বিরসা দাশগুপ্তের সঙ্গে ক্যামেরার পিছনেও কাজ করেছে সে। সম্ভবত ক্যামেরার পিছনেই বেশি স্বচ্ছন্দ মেঘলা।
শিবাঙ্গী: জুন মালিয়ার কন্যা। তবে মায়ের মতো অভিনয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনি আগ্রহ দেখাননি।
প্রনীল: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে কিন্তু লাইমলাইটে থেকে বরাবরই দূরে। তার গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার তৈরির কথা এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি।