পরনে ফ্রক। মেয়েটির দুই বিনুনিতে লাল ফিতে। পাশে বসা ছেলেটির চোখে সানগ্লাস। গেটআপ দেখে মনে হচ্ছে তাঁর কাঁধে অনেক দায়িত্ব! ঠিক এ ভাবেই পাশাপাশি বসেছিলেন রাজ-শুভশ্রী। বসেছিলেন ‘পরিণীতা’র সেটে।
বিয়ের পর এটাই শুভশ্রীর কামব্যাক ফিল্ম। রাজের হাত ধরেই বড়পর্দায় ফিরছেন তিনি।
যেমন চুটিয়ে সংসার করছেন এই জুটি, তেমনই চুটিয়ে শুটিংও করছেন। ফ্লোরে দম্পতি পরিচালক-নায়িকার সম্পর্কই ছিল। ব্যক্তিগত রসায়ন সেখানে গুরুত্ব পায়নি।
‘অ্যাডভেঞ্চার্স অব জোজো’র পর মৌলিক গল্প নিয়েই কাজ করতে চাইছিলেন রাজ। কাকতালীয় ভাবে ‘পরিণীতা’র গল্পটি পেয়েছিলেন। ফেসবুকে অনেকেই গল্প লেখেন। সে রকম একটি গল্প ভাল লেগে যায় পরিচালকের।
স্কুল ছাত্রীর লুকে শুভশ্রীর ছবি দেখেছেন অনুরাগীরা। এ ছাড়াও ছবিতে আরও তিনটি লুক রয়েছে তাঁর।
উত্তর কলকাতার একটি পাড়ার গল্প। সেখানে পাড়াতুতো প্রেমও আছে। সব মিলিয়ে বিয়ের পর কেরিয়ারে রাজ-শুভশ্রী জুটির কেমিস্ট্রির অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শক।
সদ্য শেষ হল এ ছবির শুটিং। সে কারণেই ইমোশনাল হয়ে পড়েছেন শুভশ্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, এই ছবির জার্নি তাঁর কেরিয়ারে মনে রাখার মতো। ‘মেহুল’কে (এই ছবির চরিত্র) তিনি মিস করবেন। কারণ ‘মেহুল’-এর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন নায়িকা।
সবশেষে ধন্যবাদ দিয়েছেন পরিচালক তথা প্রযোজক রাজ চক্রবর্তীকে। এই সুযোগটা তাঁকে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।