স্বস্তিকা দত্ত পর্দায় সাহসী হবেন? ছবি: ফেসবুক।
তিলে তিলে তিনি নাকি তিলোত্তমা হয়ে উঠছেন। শরীরের যত্ন নিচ্ছেন। আগের থেকে অনেকটাই বাহ্যিক পরিবর্তন ঘটেছে। দর্শকের কাছেও যাতে একঘেয়ে না হয়ে ওঠেন, তার জন্য সদাসতর্ক। বেছে চরিত্র নিচ্ছেন নানা ধরনের। কখনও স্বস্তিকা দত্ত ভৌতিক ছবিতে, কখনও আদ্যন্ত প্রেমের সিরিজ়ে।
খবর, অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের পরেই তিনি ত্রিকোণ প্রেমের সিরিজ় ‘খুঁজেছি তোকে রাত বেরাতে’-তে। বিপরীতে দুই নায়ক গৌরব চক্রবর্তী, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। পরিচালনায় অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। বিশ্বকর্মাপুজোর আগের দিন থেকে শুটিং শুরু করেছেন।
১৪ বছর টলিউডে টিকে থাকার পরেও স্বস্তিকা এত অঙ্ক কষে চলেন? প্রশ্ন ছিল আনন্দবাজার ডট কম-এর।
মিষ্টি হেসে জবাব দিলেন, “এক পেশায় এত দিন ধরে টিকে থাকতে গেলে একটু ভেবে চলতেই হয়। তার জন্য হিসাব করিনি কখনও। কারণ, বেশি বাছাবাছি করলে কাজই পাব না। চেষ্টা করেছি নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে। এবং সেগুলো নায়িকাকেন্দ্রিক হলে আরও ভাল।” ছোটপর্দায় যদি তাঁর নায়িকারূপ জনপ্রিয়, বড়পর্দায় তাঁর জনপ্রিয়তা কিন্তু খলনায়িকা হিসাবে! অরিত্রের ‘ফাটাফাটি’ ছবির ‘বিকি সেন’কে দেখে দর্শক রেগে গেলেও তার আকর্ষণ অস্বীকার করতে পারেনি। এ কথা বলতেই ফের হাসি নায়িকার। জানালেন, এই জন্যই তিনি একঘেয়ে চরিত্রে অভিনয় করতে চান না।
টিকে থাকতে গেলে নায়িকাদের নাকি খোলামেলা পোশাক, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়। এটা নাকি ইন্ডাস্ট্রির অলিখিত ‘নিয়ম’! যদিও অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য, শ্রুতি দাস খোলামোলা পোশাক পরবেন না বলেছেন। স্বস্তিকা কী করবেন? জবাব দিতে একটুও দেরি করেননি। তাঁর মতে, “মিমি চক্রবর্তীকে ‘রক্তবীজ ২’-তে বিকিনিতে দেখেছেন। নিজেকে তৈরি করে তবে এই দৃশ্যে অভিনয়ে রাজি হয়েছেন মিমিদি। আমিও এটাই করব।” স্বস্তিকা আগে খোলামেলা পোশাকের জন্য শরীর গড়বেন। চিত্রনাট্যে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের কতটা প্রয়োজন, সেটা আগে বুঝবেন। তার পর রাজি হওয়ার কথা ভাববেন।
অভিমন্যুর রোমান্টিক সিরিজ়ের নায়িকাচরিত্র সে ক্ষেত্রে কতটা আলাদা যে অভিনেত্রী রাজি হলেন?
স্বস্তিকার দাবি, “খুব মিষ্টি চরিত্র। নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ রয়েছে। বিপরীতে গৌরবদা, অনিন্দ্যের মতো অভিনেতা। আর কী চাই!” গৌরব না অনিন্দ্য— নায়ক হিসাবে কার দিকে পাল্লা ভারী? অভিনেত্রী ঝকঝকে উত্তর দিলেন, “কেউ নন। পরিচালক অভিমন্যুদাকে আমার বেশি ভাল লাগে!”