Amitabh Bachchan

Jhund: বড় জয় অমিতাভ অভিনীত ‘ঝুন্ড’-এর! স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলাকারীর ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা

মামলায় জিতেছেন ‘ঝুন্দ’-এর পরিচালক নাগরাজ মঞ্জুলে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা মামলা খারিজ করে দিয়েছে তেলঙ্গানা আদালত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২২ ১৬:৩৪
Share:

‘ঝুন্দ’-এর জয়।

'ঝুন্ড' নাকি ভুল তথ্য সংবলিত ছবি। এমনই অভিযোগ ছিল স্বাধীন পরিচালক নন্দী চিন্নি কুমারের। ছবিমুক্তির স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০১৮ থেকে ২০২২, চার বছর ধরে আইনি লড়াই। অবশেষে ৪ মার্চ, শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ছবিটি। তার মধ্যেই বড় খবর, মামলায় জিতেছেন ‘ঝুন্ড’-এর পরিচালক নাগরাজ মঞ্জুলে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা মামলা খারিজ করে দিয়েছে তেলঙ্গানা আদালত। পাশাপাশি, ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা ঘোষণা করেছে নন্দী চিন্নির বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশ, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা নন্দী চিন্নি কুমারকে এই অর্থ ‘পিএম কেয়ার ফান্ড’-এ জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে তেলেঙ্গানার কুকাটপল্লির রঙ্গ রেড্ডি আদালত খারিজ করে দিয়েছে ওই পরিচালকের ২০২১-এ করা আবেদনও।

Advertisement

প্রকৃত ঘটনা কি? খবর, স্বাধীন পরিচালক ফুটবল খেলোয়াড় অখিলেশ পলের জীবনী নিয়ে ছবি তৈরির স্বত্ব কিনেছিলেন। ২০১৮-য় তিনি জানতে পারেন, অখিলেশের ফুটবল দলের প্রশিক্ষক বিজয় বর্ষের জীবন নিয়ে ছবি বানাতে চলেছে সুপার ক্যাসেট। কুমার এর পরেই সিভিল কোর্টে যান। দাবি করেন, প্রশিক্ষকের হাত ধরে 'ঝুন্ড'-এ স্বাভাবিক ভাবেই অখিলেশ পলের জীবনও দেখানো হবে। যার আগাম স্বত্ব তিনি কিনেছেন ইতিমধ্যেই। সেই অনুযায়ী তিনি ছবিমুক্তির স্থগিতাদেশের আবেদনও জানান।

২০২০-র ১৭ অক্টোবর ট্রায়াল কোর্ট কুমারের পক্ষে রায় দেয়। এবং মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুপার ক্যাসেটকে ‘ঝুন্ড’ না দেখানোর নির্দেশ দেয়। এই আদেশ ওই বছরেরই ১৯ অক্টোবর তেলঙ্গানা হাইকোর্টও বহাল রাখে। এমনকী শীর্ষ আদালতও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না করার নির্দেশ দেয়।

Advertisement

সমস্ত আদালতে একই রায় বহাল থাকায় উভয় পক্ষ এর পরে নিজেদের মধ্যে আপস আলোচনায় বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী, একাধিক বার আলোচনায় মুখোমুখি হন কুমার এবং সুপার ক্যাসেট কর্তৃপক্ষ। আলোচনা সাপেক্ষে বিরোধী পক্ষের শর্তগুলি মেনেও নেন স্বাধীন পরিচালক। সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করেন।

কিন্তু শেষ মুহূর্তে আচমকাই নাকি বেঁকে বসেন নন্দী চিন্নি কুমার। খবর, তাঁর চাহিদা পূরণে নাকি ব্যর্থ হয় সুপার ক্যাসেট। কুমার ফের ট্রায়াল কোর্টে পূর্ব নির্দেশ ফিরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানান। আদালতের নির্দেশ না মানলে বড় ধরনের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাঁকে, আবেদনে এ কথাও জানান তিনি। কিন্তু এ বার তাঁর আবেদন অগ্রাহ্য করে আদালত। একই সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য হয় কুমারের উপর। যা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে মেটাতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন