ছবি হিট বা ফ্লপ হওয়ার বিষয়ে বলিউড তারকাদের অবদান থাকে বিরাট। কঠিন কসরত করে যাঁরা ছবি হিট করছেন, তাঁদেরও তো কিছু শর্ত থাকে। মাঝেসাঝেই সেইসব শর্ত বদলে যায় বায়নায়। দেখে নেওয়া যাক বলি তারকাদের এমনই কিছু বায়নার গল্প।
তিনি যে প্রথম সারির অভিনেত্রী তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে নবাগতদের সঙ্গে কাজ করতে হলেই মুখ বেঁকান করিনা কপূর। এক্কেবারে প্রথম সারির অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয়— এই দাবিই মূলত প্রযোজক-পরিচালকদের সঙ্গে করে থাকেন করিনা কপূর।
শরীর নিয়ে সদা সচেতন হৃতিক রোশন। আউটডোর শুট হোক কিংবা ইন্ডোর শুট, সঙ্গে একজন রাঁধুনি নিয়ে যাবেনই হৃতিক। এমনকী, দূরে কোথাও অনেক দিনের শুটিং থাকলে, শরীরচর্চার জন্য সেরা জিমটা অবধি খুঁজে নেন হৃতিক। আর সেই সব খরচ বইতে হয় ছবির প্রযোজকদেরই।
ছবি সই করার আগে প্রযোজকদের একটা কথা খোলসা করে বলে দেন ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমার। যত যাই হয়ে যাক রবিবার কোনও মতেই শুট করবেন না অক্ষয় কুমার। যদিও দু-একটি ছবির জন্য এই শর্ত ভাঙতে হয়েছে তাঁকে।
পর্দায় চুমু খেতে বেজায় আপত্তি রয়েছে সোনাক্ষি সিংহের। আর তাই সোনাক্ষির কোনও ছবিতে অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখা যায় না।
ইতিমধ্যেই ঝুলিতে তিনটি জাতীয় পুরস্কার রয়েছে কঙ্গনা রানাউতের। তাঁর মতো ট্যান্ট্রাম থ্রো করতে অভ্যস্ত বলিউডে দ্বিতীয় আর কারও খোঁজ মেলা ভার। স্ক্রিপ্ট শোনা থেকে শুরু করে আরও খুঁটিনাটি বিষয়— এই সবই করে থাকেন কঙ্গনার পার্সোনাল ম্যানেজার। কঙ্গনা শুধুই অনুমতি দেন।
রেখার অভিনয় যাঁরা লক্ষ্য করেন, তাঁরা জেনে থাকবেন কতটা নিখুঁত তিনি। এমনও হয়েছে শেষ মুহূর্তে এডিট টেবলে ছবি পছন্দ না হওয়ার কারণে ছবি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন রেখা।
ভিলেন চরিত্রে সচরাচর আপত্তি করেন না অক্ষয় খান্না। তবে হিরোর হাতে মার খেতে নারাজ অক্ষয় খান্না। তাই, তাঁকে ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে দেখা গেলেও হিরোর হাতে মার খেতে দেখা যায়নি।
সিলভার স্ক্রিনে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে ঘোর আপত্তি বলিউডের ভাইজানের। ছবি সাইনের আগে এই শর্তের কথা পরিচালকদের জানিয়েই দেন সলমন।