আর যাই হয়ে যাক, গান যেন ঠিকঠাক থাকে, এমনটাই ভাবেন বলিউডের বেশির ভাগ পরিচালক থেকে প্রযোজকরা। সিনেমায় গানের ব্যবহার নিয়ে সদা সচেতন তাঁরা। বিপুল টাকাও ঢেলে ফেলেন এক একটা গান শুট করতে। বলিউডের কিছু গানে এত টাকা খরচ হয়, যে টাকায় গোটা একটা ছবিই তৈরি হয়ে যায়। সেরকমই কিছু গানের দৃশ্য তৈরি করতে কত খরচ হয়েছে জেনে নিন।
হানি সিংহের ‘পার্টি অল নাইট’ গানটা মনে আছে নিশ্চয়। অক্ষয় কুমারের ‘বস’ ছবিটি কিন্তু এক্কেবারেই হিট করেনি। অথচশুধু এই গানটা শুট করতেই নাকি ৬ কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত বলিউডে সব থেকে বেশি খরচ হয়েছে এই গানটি শুট করতে।
‘ধুম থ্রি’-র ‘মলঙ্গ’ গানে আমির আর ক্যাটরিনার পারফরম্যান্স দর্শকদের নজর কেড়েছিল। আমেরিকা থেকে ২০০ জন জিমন্যাস্টকে নিয়ে আসা হয়েছিল এই গানের জন্য।এই গানের পিছনে যশ রাজ ফিল্মস প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করেছিল।
‘স্যাটারডে স্যাটারডে’ গানটি শুট করতে প্রযোজক খরচ করেছিলেন প্রায় ৩ কোটি টাকা। আলিয়া ভট্ট এবং বরুন ধওয়নের ‘হাম্পটি শর্মা কী দুলহনিয়া’-ও যেমন হিট হয়েছিল, হিট হয়েছিল ‘স্যাটারডে স্যাটারডে’ গানটিও।
‘তেবর’ ছবির ‘রাধা নাচেগি’ গানটি শুট করতে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছিল। পোশাক, অলঙ্কার সব মিলিয়ে সোনাক্ষিকে সাজাতেই খরচ হয়েছিল প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। আর এই গানের জন্য মোট খরচ হয়েছিল আড়াই কোটি টাকার কাছাকাছি।
সুপার ফ্লপ হয়েছিল সাজিদ খান পরিচালিত ‘হমশকলস’ ছবিটি। তবে হিট হয়েছিল এই ছবিরই ‘পিয়া কে বাজার’ গানটি। প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল এই গানটির পিছনে।
আইটেম সং মানেই হিট। আর সে গানে যদি মল্লিকা শেরাওয়াত থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। ঠিক যেমন, ‘ডবল ধামাল’ ছবির জালেবি বাই গানটা। এই গানের পিছনে প্রযোজকেরা দেড় কোটি টাকার মতো খরচ করেছিলেন।