তাঁরা ফিল্মি দুনিয়ার মানুষ। আবার তাঁদের রিয়েল লাইফেও পড়েছে ফিল্মের ছায়া। পার্টনারকে প্রপোজ করতে গিয়ে অনেক সময়ই ফিল্মি কেতার দারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কেউ সমুদ্রের ধারে হাঁটু গেড়ে বসে প্রেম নিবেদন করেছেন, কেউ আবার কফি মগে ফেলে দিয়েছেন দুর্দান্ত একটি এনগেজমেন্ট রিং।
শাহরুখ খান-গৌরি: টিনএজ থেকেই গৌরির সঙ্গে ডেটিং শুরু করেছিলেন শাহরুখ। বলি বাদশার অতিরিক্ত নজরদারিতে বিরক্ত হয়ে এক বার ব্রেকআপ করে মুম্বই চলে যান গৌরি। তাঁকে খুঁজতে মুম্বই আসেন শাহরুখও। বিচে হঠাৎই দেখা হয়ে যায় দু’জনের। কেঁদে ফেলেন দু’জনেই। সেই মুহূর্তে গৌরিকে ফের প্রপোজ করেছিলেন শাহরুখ আর গৌরির উত্তর ছিল ‘হ্যাঁ’।
অক্ষয়-টুইঙ্কল: একটি ম্যাগাজিনের শুট করার সময় টুইঙ্কেলের সঙ্গে ডেট শুরু করেন অক্ষয়। এক বছর পর টুইঙ্কেলকে প্রপোজ করেছিলেন ‘খিলাড়ি’। তবে, কেরিয়ারের জন্য টুইঙ্কেল নাকি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে ‘মেলা’ ছবি ফ্লপ করার পর অক্ষয়ের প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন নায়িকা।
অভিষেক-ঐশ্বর্য: ‘গুরু’ ছবি থেকেই প্রেমের শুরু। নিউ ইয়র্কে শুটিংয়ের সময় হোটেলের একটি নির্দিষ্ট ব্যলকনিতে দাঁড়িয়েই ঐশ্বর্যার কথা ভাবতেন অভিষেক। পরে যখন ‘গুরু’র প্রিমিয়রে এক সঙ্গে নিউ ইয়র্কে যান, তখন সেই হোটেলের সেই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েই ঐশ্বর্যাকে বলেছিলেন, ‘উইল ইউ ম্যারি মি?’ অবশেষে ২০০৭-এ চার হাত এক হয় এই যুগলের।
সইফ-করিনা: শাহিদ কপূরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সইফের প্রেমে পড়েন করিনা। সইফ করিনাকে নাকি প্রপোজও করেছিলেন ফিল্মি কায়দায়। কিন্তু, কেরিয়ারের জন্য প্রথমে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন করিনা। পরে, অবশ্য ‘হ্যাঁ’ বলতে দু’বার ভাবেননি।
কর্ণ-বিপাশা: রূপকথার মতো বিপাশাকে প্রপোজ করেছিলেন কর্ণ। বিপাশার সামনে হাঁটু গেড়ে দশ মিনিট বসেছিলেন তিনি। প্রথমে বিপাশা এড়িয়ে গেলেও পরে আর ‘না’ করতে পারেননি।
হৃতিক-সুজান: টিনএজ থেকেই সুজানের প্রেমে পাগল ছিলেন হৃতিক। প্রপোজ করতে গিয়ে সুজানের কফি মগের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন এনগেজমেন্ট রিং। কফি খেতে গিয়ে সুজান তো থ! ২০০০ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। ২০১৪-তে অবশ্য দু’জনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।