শনিবার রাতে আচমকাই বুকে ব্যথা। মুহূর্তেই সব শেষ। মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই চলে গেলেন বলিউডের ‘চাঁদনি’। শ্রীদেবীর মতোই আরও কয়েকজন সেলিব্রিটির এমনই আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। গ্যালারির পাতায় দেখে নিন হার্ট অ্যাটাকে থেমে গিয়েছে যে সব অভিনেতাদের জীবন।
ওম পুরী। বলিউডের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে নামটা।গত বছর ৬ জানুয়ারি হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। ‘অর্ধসত্য’, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’, ‘পার’-এর মতো বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
টেলিভিশন ও হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন রীমা লাগু। ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’র মতো অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। গত বছর ১৮ মে সকালে তিনিও হার্ট অ্যাটাকের ফলে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯।
‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’-এ গোল্ডেন ভাইয়ের চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন রেজ্জাক খান। বলিউডে ৯০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। মূলত কমিক চরিত্রেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০১৬-র ১ জুন বান্দ্রার হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। সেখানেই মারা যান তিনি।
বলিউডের এক জন জনপ্রিয় অভিনেতা ও কমেডিয়ান বিবেক শৌক। ‘অ্যায়তরাজ’, ’৩৬ চায়না টাউন’, ‘দিল হ্যায় তুমহারা’, ‘গদর: এক প্রেম কথা’র মতো বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। মাত্র ৪৭ বছর বয়সে ২০১১-র ১০ জানুয়ারি মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক।
পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে দুবাই গিয়েছিলেন ফারুক শেখ। সেখানেই ২০১৩-র ২৭ ডিসেম্বর হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। মৃত্যু হয় ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’, ‘চশমে বদ্দুর’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-র মতো ছবির অভিনেতার।
৪৫ বছর বয়সে ২০১৭-র ২৮ জুলাই আকস্মিক হৃদরোগের শিকার হন অভিনেতা ইন্দ্র কুমারও। ১৯৯৬ সালে বলিউডে তিনি পা রাখেন ‘মাসুম’ ছবিতে। কুড়িটির বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন ইন্দ্র।