অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস। অস্কারের মঞ্চ। বেশির ভাগ সিনেপ্রেমীর কাছে যা এক স্বপ্নের মঞ্চ। ভারত থেকে যে মঞ্চে এ বছরের প্রতিনিধি অসমের পরিচালক রিমা দাসের ছবি ‘ভিলেজ রকস্টার্স’। কিন্তু জানেন কি, বেশ কিছু বলিউডি ছবি অস্কারের মঞ্চে পাঠানো হয়েছিল, যেগুলি পাঠানো নিয়ে মত ছিল না অনেকেরই। তালিকায় রয়েছে জিন্স, সাগর...
১৯৫৭ সালে অস্কারের মঞ্চে মনোনীত হয়েছিল ‘মাদার ইন্ডিয়া’, মেলেনি পুরস্কার। ১৯৫৮ সালে ‘মধুমতী’ ও ১৯৬২ সালে ‘সাহেব, বিবি, অউর গুলাম’ পুরস্কারের মঞ্চে গেলেও মনোনয়ন পায়নি।
১৯৬৫ সালে ‘গাইড’, ১৯৬৬ সালে ‘আম্রপালী’, ১৯৬৭ সালে ‘আখরি খত’, ১৯৬৮ সালে ‘মঝলি দিদি’, ১৯৭১ সালে ‘রেশমা অউর সেরা’ অস্কারের মঞ্চে গেলেও মেলেনি মনোনয়ন।
মন্থন: শ্যাম বেনেগালের ছবিটি ১৯৭৭ সালে গিয়েছিল অস্কারে। কিন্তু মনোনীত হয়নি। ১৯৭৪ সালে ইসমত চুঘতাইয়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘গরম হাওয়া’ ছবিটিও মনোনীত হয়নি এখানে।১৯৭৩ সালের ছবি ‘সওদাগর’ -এর ক্ষেত্রেও তাই। পাঠানো হলেও মনোনীত হয়নি ছবিটি।
১৯৫৯ সালে সত্যজিত রায়ের অপু ট্রিলজির শেষ ছবি অপুর সংসার, ১৯৬৩ সালে মহানগর ও ১৯৭৮ সালে শতরঞ্জ কে খিলাড়ি অস্কারের মঞ্চে মনোনীত হয়নি। সমালোচকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেছেন পরবর্তীতে।
১৯৮০ সালে ‘পায়েল কি ঝঙ্কার’, ১৯৮৪ সালে ‘সারাংশ’, ১৯৮৫ সালে ‘সাগর’ ছবিটিও পাঠানো হয়েছিল অস্কারের মঞ্চে। তবে মেলেনি মনোনয়ন।
মিরা নায়ারের ছবি সালাম বম্বে (১৯৮৮), বিধুবিনোদ চোপড়ার পরিন্দা (১৯৮৯) ও মণি রত্নমের ছবি অঞ্জলি (১৯৯০) সালে পাঠানো হলেও মনোনীত হয়নি। মনোনীত হয়নি ১৯৮৬ সালে পাঠানো ছবি স্বাতী মুটিয়ামও।
হেনা: রাজ কপূর শুরু করলেও শেষ করতে পারেননি। পরিচালনা করেন রণধীর কপূর। ১৯৯১ সালে এই ছবিটি অস্কারে গেলেও মনোনীত হয়নি।
ব্যান্ডিট কুইন: শেখর কপূর ছবিটি ১৯৯৪ সালে অস্কারের মঞ্চে গেলেও মনোনীত হয়নি। মনোনীত হয়নি ১৯৯৩ সালে অস্কারে পাঠানো ছবি রুদালিও। এই ছবির পরিচালিকা ছিলেন কল্পনা লাজমি।
জিন্স: ঐশ্বর্যা রাই অভিনীত তামিল ছবিটি ১৯৯৮ সালে অস্কারের মঞ্চে গেলেও মনোনীত হয়নি।
১৯৪৭ আর্থ: দীপা মেটা পরিচালিত ছবিটি ১৯৯৯ সালে অস্কারের মঞ্চে গেলেও মনোনীত হয়নি।
হে রাম: কমল হাসন পরিচালিত ছবিটি ২০০০ সালে অস্কারের মঞ্চে গেলেও মনোনীত হয়নি।
লগান: আশুতোষ গোয়ারিকর পরিচালিত ছবিটি ২০০১ সালে অস্কারের মঞ্চে গেলেও মনোনীত হয়নি।
দেবদাস: সঞ্জয় লীলা ভন্সলী পরিচালিত মারাঠি ছবিটি ২০০২ সালে পাঠানো হয়েছিল অস্কারে। তবে তা মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
শ্বাসছ পহেলি: সন্দীপ সাওয়ান্ত পরিচালিত মারাঠি ছবিটি ২০০৪ সালে পাঠানো হয়েছিল অস্কারে। তবে তা মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
পহেলি: অমল পালেকর পরিচালিত এই ছবিটি ২০০৫ সালে পাঠানো হয়েছিল অস্কারে। তবে তা মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
রং দে বসন্তি: রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা পরিচালিত এই ছবিটি ২০০৬ সালে পাঠানো হয়েছিল অস্কারে। তবে তা মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
একলব্য: বিধুবিনোদ চোপড়া পরিচালিত এই ছবিটি ২০০৭ সালে পাঠানো হয়েছিল অস্কারে। তবে তা মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
তারে জমিন পর: আমির খান পরিচালিত এই ছবিটি ২০০৮ সালে পাঠানো হয়েছিল অস্কারে। তবে তা মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
হরিশচন্দ্র ফ্যাক্টরি: পরেশ মোকাশি পরিচালিত মারাঠি ছবিটি ২০০৯ সালে পাঠানো হয়েছিল অস্কারে। তবে তা মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
পিপলি লাইভ: অনুশা রিজভি পরিচালিত ছবিটি ২০১০ সালে পাঠানো হয়েছিল অস্কারে। তবে তা মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
আদামিন্তে মাকান আবু : সালিম আহমেদ পরিচালিত ছবিটি ২০১১ সালে পাঠানো হয়েছিল অস্কারে। তবে তা মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
বরফি: অনুরাগ বসু পরিচালিত ছবিটি ২০১২ সালে পাঠানো হয়েছিল অস্কারে। তবে তা মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
দ্য গুড রোডস: প্রথম গুজরাতি ছবি যেটি পাঠানো হয় অস্কারের মঞ্চে। জ্ঞান কোরিয়া পরিচালিত ছবিটি ২০১৩ সালে মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
লায়ারস ডাইস: গীতু মোহনদাস পরিচালিত মারাঠি ছবিটি অস্কারে গিয়েছিল ২০১৪ সালে, তবে মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে। ছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও গীতাঞ্জলি থাপা।
কোর্ট: চৈতন্য তামহানে পরিচালিত মারাঠি ছবিটি অস্কারে গিয়েছিল ২০১৬ সালে, তবে মনোনয়ন পায়নি পুরস্কারের মঞ্চে।
ভিসারানাই: ভেত্রিমারান পরিচালিত তামিল ছবিটি অস্কারে গিয়েছিল ২০১৬ সালে, তবে মনোনয়ন পায়নি।
নিউটন: অমিত ভি মাসুরকর পরিচালিত ছবিটি অস্কারে গিয়েছিল ২০১৭ সালে, তবে মনোনয়ন পায়নি।
অসমের পরিচালক রিমা দাসের ছবি ‘ভিলেজ রকস্টার্স’ পাঠানো হয়েছে ২০১৮ সালের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে।