‘বালিকা বধূ’ থেকে ‘বাবা অ্যায়সা বর ঢুঁনডো’র মতো ধারাবাহিক দিয়ে শুরু। তার পর ‘লুটেরা’, ‘দিল ধড়কনে দো’, ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’ এবং ‘ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’-এর মতো ছবিতে অভিনয়। বিক্রান্ত মেসি ফিরছেন ছোট পর্দায়। কাজ করেছেন একটি টেলিফিল্মে, যার পরিচালক টলিউডের অরিন্দম শীল।
প্র: টেলিভিশন দিয়ে শুরু। মাঝে ছবি। টিভিতে ফেরত এলেন কেন?
উ: ‘কাঁহা হু ম্যায়’ ধারাবাহিক দিয়ে আমার কেরিয়ারের শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ধারাবাহিকটি টেলিকাস্ট হয়নি। ১৫ বছর পরে আবার সেই চ্যানেেলই আমি ফিরলাম। মনে হচ্ছে ঘরে ফিরলাম। আশা রাখি, টেলিফিল্মের এই ট্রেন্ড যেন ফিরে আসে। আরও ভাল ভাল টেলিফিল্ম যেন আমরা বানাতে পারি।
প্র: শোনা যাচ্ছে, বড় পর্দায় সফল হওয়ার পর আপনি একটু বেশি বাছবিচার করছেন?
উ: দেখুন, আমার কাছে গল্পটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি যে সব ছবিতে কাজ করেছি, সেখানে আমি কিন্তু ‘হিরো’ নই। যে কোনও মাধ্যমে কাজ করতে রাজি আছি বলে আমাকে কখনও থিয়েটার করতেও দেখতে পারেন। তবে আমার একটা বদনাম আছে যে, আমি খুঁতখুঁতে। এটা পুরোটা সত্যি নয়, মিথ্যেও নয়।
প্র: হিন্দি ভাষা আপনার খুব প্রিয় এবং আপনি তাতে পারদর্শীও বটে। এত ভাল হিন্দি বলেন আর লেখেন কী ভাবে?
উ: ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে হিন্দি শুনে এবং বলে আসছি। মুম্বইয়ের একটা দুর্নাম আছে, এখানকার লোক ভাল হিন্দি বলতে পারে না। ছোটবেলা থেকেই আমার বিভিন্ন প্রদেশের বন্ধু ছিল। তারা কেউ হিন্দিতে সহজ, আবার কেউ উর্দুতে। ওদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমার ভাষা শেখা হয়ে যেত। আমার মা হিন্দু আর বাবা খ্রিস্টান। মা-বাবাই আমাকে হিন্দি শিখিয়েছেন। হিন্দিতে চিন্তা-ভাবনা করি, আমার হিন্দির উপর দখলটা ভালই। আর লিখতে ভালবাসি, ছবির চিত্রনাট্য থেকে কবিতা... সব লিখি। প্রত্যেক লেখার একটা ভাগ্য থাকে। আমার লেখা থেকে ভবিষ্যতে ছবি হলে বলব, লেখাটা সেই ভাগ্য নিয়ে এসেছিল।
প্র: টেলিভিশিনের যে ট্রেন্ড এখন চলছে, সেই সম্পর্কে কী বলবেন?
উ: এই ট্রেন্ড খুবই বিরক্তিকর। এই কারণেই টেলিভিশন ছেড়েছিলাম। আশি-নব্বই দশকের ধারাবাহিকগুলোর কথা ভাবুন। কী সব শো হতো! ‘তমস’, ‘অফিস অফিস’, ‘মির্জা গালিব’... দর্শকের বিনোদন তো হতোই, তাঁদের কিছু শিখিয়েও যেত শোগুলো। দুর্ভাগ্যবশত আমরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছি। অভিনেতা হিসেবে আমাদের একটা দায়িত্ব আছে, তা থেকে আমরা যেন দূরে চলে গিয়েছি। শুধু টিআরপি আর বাণিজ্যিক নীতি দিয়ে ভাল শো বানানো যায় না।
প্র: আলিয়া ভট্ট আর আপনি নাকি ভাল বন্ধু?
উ: আমরা একে অপরকে ১৫ বছর ধরে চিনি। একসঙ্গে একটা বিজ্ঞাপন করেছিলাম। কিন্তু আমি বা আলিয়া এই রকম বিবৃতি দিইনি যে, আমরা ভাল বন্ধু। আমি আলিয়ার কাজের বড় অনুরাগী।