‘উড়নচণ্ডী’র চার মুখ। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
শহুরে ক্লাবের বিকেল। দোতলার বারান্দায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে কখনও বাইট দিচ্ছেন অভিষেক সাহা। কখনও বা অমর্ত্য। আর হাসিমুখে পরিমিত কিছু কথা একাধিকবার বলে চলেছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। একেবারে পেশাদারি দক্ষতায়।
কোন বক্তব্য? কীসের বাইট?
‘উড়নচণ্ডী’র বক্তব্য। ‘উড়নচণ্ডী’র বাইট। আর এঁরা সকলেই ‘উড়নচণ্ডী’র টিম মেম্বার। শুক্রবার মুক্তি পেল আসন্ন এই ছবির ট্রেলার।
হঠাৎই বারান্দার ভিড়ে গুঞ্জন, ‘দাদা আসছে’। ‘দাদার গাড়ি ঢুকে গিয়েছে।’
অমনি ভিড়টাও ঢুকে পড়ল লাগোয়া হলে। ‘দাদা’ অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এলেন। সোজা গিয়ে বসলেন প্রথম সারিতে। পাশে চিত্রা সেন। ‘উড়নচণ্ডী’র আরও এক ঘুঁটি।
‘উড়নচণ্ডী’ সম্ভবত টলিউডের প্রথম রোড মুভি। পরিচালক হিসেবে অভিষেকের ডেবিউ এই ছবির হাত ধরেই। আর প্রসেনজিৎ এ ছবির প্রযোজক। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ম্যানেজার। কাজ করেছে আমার টিম।’’
আরও পড়ুন, তিন এক্কে তিন, কেয়ার অব সুদীপ্তা
মঞ্চে উঠে অভিষেক, চিত্রা, সুদীপ্তা, অমর্ত্য, সৌমিক, তন্ময়-সহ ‘উড়নচণ্ডী’র সৈনিকদের একে একে ডেকে নিলেন প্রসেনজিৎ। প্রথমেই বললেন, ‘‘এই ছবিটা আমরা রিয়েল টাইম, রিয়েল লোকেশনে শুট করেছি। ঘরের ভিতর কিন্তু কোনও সিন নেই। সৌমিক (চিত্রগ্রাহক) ছাড়া ছবিটা হত না। আমি স্ক্রিপ্ট শুনেই বলেছিলাম সৌমিক ডেট দিলে তবেই এ ছবিটা করব।’’
আরও পড়ুন, তনুজাকে নিয়ে শুটিং করেছি, ভাবতেই হয়নি, বলছেন পরমব্রত
লরিকে ঘিরে বিভিন্ন বয়সী তিন মহিলার জার্নিকে ফ্রেমবন্দি করেছেন অভিষেক। তাঁর অবশ্য একটি অন্য পরিচয়ও রয়েছে। তিনি সুদীপ্তার স্বামী। ফলে অভিষেকের প্রথম ছবিতেই সুদীপ্তা? এ প্রশ্নটা অনেকেই করতে চাইছিলেন। ওঁদের হয়ে আগেই উত্তর দিলেন প্রযোজনা সংস্থা এনআইডিয়াস ক্রিয়েশনস অ্যান্ড প্রোডাকশনস-এর কর্তা প্রসেনজিৎ। তিনি বললেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রী বলে নয়। আপনারা ট্রেলার দেখুন। বিন্দির চরিত্রে সুদীপ্তা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও নাম মাথায় আসবে না।’’
আরও পড়ুন, ‘যেখানে প্রোমোশনের সুযোগ থাকে, সেখানেই হয়তো কাস্টিং কাউচ আছে’
ছবিতে সুদীপ্তা ছাড়া অন্য দুই মহিলার চরিত্রে রয়েছেন চিত্রা সেন, এবং রাজনন্দিনী দত্ত। চিত্রা শেয়ার করলেন, ‘‘অভিষেক খুব কম কথা বলে। তবে ওর যেটা চাই, সেটা ও কিন্তু করিয়ে নেয়। এটাই আমার ভাল লেগেছে।’’ ছবিতে অন্য একটি চরিত্রে রয়েছেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষালের ছেলে অমর্ত্য।