Advertisement
২৩ অক্টোবর ২০২৪
Entertainment News

তিন এক্কে তিন, কেয়ার অব সুদীপ্তা

আগামী ৩০ দিনে সুদীপ্তার তিনটি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। তিনটি আলাদা লুকে তিনি বড় পর্দায় আসছেন। নিজে মনে করেন, ভাগ্যিস, অভিনয় তাঁর পেশা, নেশাও বটে।

মৌ, নয়না, বিন্দি। তিনটি ভিন্ন লুকে সুদীপ্তা।

মৌ, নয়না, বিন্দি। তিনটি ভিন্ন লুকে সুদীপ্তা।

স্বরলিপি ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৮ ১২:২৭
Share: Save:

টেলিভিশন, ফিল্ম, নাটক— সব ক’টা পাড়া তিনি চেনেন হাতের তালুর মতোই। অভিনেত্রী হিসেবে বহু প্রশংসা এসেছে। ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় পুরস্কার। তবুও এ হেন ঘটনা তাঁর কেরিয়ারে আগে হয়নি। তিনি অর্থাত্ সুদীপ্তা চক্রবর্তী

কিন্তু কোন ঘটনা?

আগামী ৩০ দিনে সুদীপ্তার তিনটি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। তিনটি আলাদা লুকে তিনি বড় পর্দায় আসছেন। নিজে মনে করেন, ভাগ্যিস, অভিনয় তাঁর পেশা, নেশাও বটে। সে কারণে এই বিরল সুযোগ এল। আর মুখে বলছেন, ‘‘আমার হাতে কিছুই ছিল না। কী ভাবে যেন হয়ে গেল…। মজা লাগছে।’’

বছর পাঁচেক আগে সুদীপ দাসের ‘শব্দকল্পদ্রুম’-এর শুটিং করেছিলেন সুদীপ্তা। কিন্তু অভ্যন্তরীণ নানা কারণে এত দিন ছবির মুক্তি আটকে ছিল। মুক্তি পাবে আগামী ৬ জুলাই। একেবারে অন্য লুকে এই ছবিতে ধরা দেবেন অভিনেত্রী।

‘শব্দকল্পদ্রুম’-এর নয়না

অবাঙালি এই মেয়ে অল্প বয়সেই অপব্যবহৃত। সিস্টেম থেকে বঞ্চিত। ফলে তাঁর পুরো রাগটাই গিয়ে পড়ে সিস্টেমের ওপর। এ হেন নয়না পেয়ে যান সমমনস্ক আরও তিন জনকে। এঁরা সকলেই বঞ্চিত। ফলে সকলেই চলতি সিস্টেমের বিরুদ্ধে কিছু করতে চাইছেন। ঘটনাচক্রে এই চার জনের সঙ্গে পাঁচটি শিশুর দেখা হয়। যারা কথা বলতে পারে না। কানে শুনতেও পায় না। ফলে এই শিশুরাও কোথাও স্বাভাবিক জীবন থেকে বাতিলের খাতায় পড়ে যায়। এই পাঁচ জন কিন্তু চলতি ধারার বিরোধিতা করে না। বরং নিজেদের খামতিকে পূর্ণ করার চেষ্টা করে। অথচ নয়না এবং তাঁর সঙ্গীরা প্রতিশোধ নিতে চায় সিস্টেমের বিরুদ্ধে গিয়ে।

আরও পড়ুন, তনুজাকে নিয়ে শুটিং করেছি, ভাবতেই হয়নি, বলছেন পরমব্রত

পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্যর দ্বিতীয় ছবি ‘পিউপা’। সেন্সরের বাধায় বেশ কিছু দিন আটকে থাকার পর ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ২০ জুলাই। এ ছবিতে সুদীপ্তাকে দেখে হয়তো অনেক দর্শকই নিজের সঙ্গে রিলেট করতে পারবেন।


সম্প্রতি হায়দরাবাদ বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘পিউপা’র জন্য সম্মানিত হয়েছেন সুদীপ্তা।

‘পিউপা’র মৌ কি আপনার মতো?

তথাকথিত উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েটির বিয়েও হয় উচ্চবিত্ত পরিবারেই। চিকিত্সক স্বামী, সন্তানকে নিয়ে তাঁর দৈনন্দিন। কিন্তু দিনের শেষে মৌ কারও মেয়ে, কারও বউ, কারও দিদি, কারও মা। তাঁর নিজের কোনও আইডেন্টিটি নেই। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িই আসল, এ-ই জেনেছেন তিনি। মা মারা গিয়েছেন, বাবা অসুস্থ। তবুও শ্বশুরবাড়ি ফিরে গিয়ে নিজের দায়িত্ব পালনের ওপর জোর দেন মৌয়ের স্বামী। আসলে মৌ নিজের অরবিট খুঁজে পাচ্ছেন না। আদৌ কি আমার-আপনার অনেকেরই চেনা মৌ খুঁজে পাবে তাঁর নিজস্ব কক্ষপথ?

আরও পড়ুন, ‘আমাকে শুনতে হয়েছিল, কীর্তন? কী হবে এটা করে?’

অভিষেক সাহার ডেবিউ ছবি ‘উড়নচণ্ডী’। বাংলায় এর আগে এ ধরনের রোড মুভি প্রায় হয়নি বলেই দাবি করেছিলেন পরিচালক। এই ছবিতে সুদীপ্তা
ঠিক কেমন?

‘উড়নচণ্ডী’র বিন্দি কেমন জানেন?

ঝাড়খণ্ড বর্ডারে বাস। বিহারী মেয়ে বিন্দি নিম্নবিত্ত সমাজের মানুষ। মেয়েমানুষ হয়ে জন্মালে ঘরে বর মারবে, আর রাস্তায় বেরলে অন্য পুরুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে— এটাই বিন্দির চেনা কনসেপ্ট। বিন্দি কোথাও যেন আটকে রয়েছে। তারও অনেক না পাওয়া রয়েছে। এই জীবনটা থেকে বেরতে চায় সে। বিন্দি কি সত্যিই বেরতে পারবে?

আরও পড়ুন, লোকনাথ কে? ‘উনি ধ্যান করতেন’, উত্তর পর্দার লোকনাথের

এই তিন চরিত্র নিয়েই সুদীপ্তা সিনেমা হলে থাকবেন আগামী এক মাস। খুব চেনা একটা প্রশ্ন করেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, তিনটি ছবির মধ্যে সবচেয়ে কাছের কোনটা? কারণ, এই প্রথম বর (অভিষেক সাহা) পরিচালক। আর প্রথম ছবিতে তাঁকে কাস্ট করেছেন। ভেবেছিলাম, অন্য রকম উত্তর এলেও আসতে পারে। কিন্তু সুদীপ্তা বরাবরই সোজাসাপ্টা। বললেন, ‘‘আমি সব ছবিই সমান ভাবে প্রোমোট করছি। নিজের মতো করে। অভিষেকের ছবি বলে আলাদা করে প্রোমোট করছি না কিন্তু। আরে, সব ছবিগুলোই তো আমার…। হা হা হা…।’’

ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE