নতুন সাজে নতুন ভাবে অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
পাঁচ আঙুলে পাঁচটি আংটি। গলায় সীতাহার। এ সবে নয়, অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় নজর কেড়েছেন কানে গয়না পরে! ইদানীং রুপোলি ধাতুর ‘কান’ নারীর সাজে ‘ইন থিং’। সেই গয়না পরে অভিনেতা তাক লাগিয়ে দিয়েছেন!
হঠাৎ এত গয়না পরলেন? ‘বিশেষ’ কারও অনুপ্রেরণায় এই সাজ নাকি?
প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। শুনে হেসেছেন খুব। অর্ণব তার পর বলেছেন, “কোনও নারীর অনুপ্রেরণায় এই বিশেষ সাজ নয়। এ রকম সাজ কখনও সাজিনি বলেই গয়নায় নিজেকে সাজালাম। বলতে পারেন, রাজস্থানী পুরুষেরা আমার এই সাজের অনুপ্রেরণা।” আয়নায় নিজেকে দেখে প্রথমে নিজেই চিনতে পারছিলেন না!
বাকিরা অর্ণবের সাজ দেখে কী বলছেন? অভিনেতার কণ্ঠে তৃপ্তির ছোঁয়া। বললেন, “একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম। নেটাগরিকেরা কী বলবেন। দেখলাম, সকলেই প্রশংসা করছেন।” ইদানীং পুরুষেরা শুধু গয়না নয়, শাড়ি পরে রাস্তায় বেরোচ্ছেন। মুখের কথা প্রায় কেড়ে নিয়ে অভিনেতা বললেন, “তাতে তো অন্যায় দেখি না! লিঙ্গসাম্যের যুগে সব পোশাক সকলের জন্য। এই ধরনের বিশেষ সাজ যাঁরা ক্যারি করতে পারেন, তাঁরা অবশ্যই করবেন।”
মহিলাদের মতো সাজলে সেই পুরুষকে ‘মেয়েলি’ তকমা দেওয়া হয়! তাঁদের লিঙ্গপরিচয় নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। “যাঁদের ‘ম্যাসকুলিনিটি’ ঠুনকো, তাঁদের সমালোচনা শুনলে গায়ে লাগতেও পারে। আগে রাজারাজড়াও তো গয়না পরতেন”, পাল্টা যুক্তি তাঁর। রাজস্থানের পুরুষেরা এখনও নানা গয়নায় সাজেন, মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
অভিনীত চরিত্র বা নিছক স্থিরচিত্রের জন্য নয়, আপনি গয়না বা শাড়িতে সেজে কোনও অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন?
একটু থমকেছেন অর্ণব। স্বীকার করে নিয়েছেন, “সব সাজ সকলের জন্য নয়। শুটিংয়ের জন্য সব করতে রাজি। কিন্তু বাইরে এ ভাবে সেজে বেরোতে পারব না। অস্বস্তি লাগবে।”