কী ভাবে নিজেকে চাঙ্গা রাখেন শাহরুখ? ছবি: সংগৃহীত।
ছোট বয়সে বাবাকে হারান শাহরুখ খান। তার কয়েক বছর পর মৃত্যু হয় মায়ের। শাহরুখ জানান, বাবা ও মাকে হারানোর পরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তাঁর দিদি শেহনাজ় লালারুখ। বাবার মতোই আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিভাবকহীন হওয়ার পরে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। মৃত্যুর সঙ্গেও দিদিকে পাঞ্জা লড়তে দেখেন অভিনেতা। যদিও নিজেকে অবসাদে ডুবতে দেননি শাহরুখ।
(বাঁ দিকে) অভিনেতার দিদি শেহনাজ় লালারুখ। শাহরুখ খান (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৯৫ সালে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ ছবির শুটের সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতার দিদি। শাহরুখ তাঁকে সুইৎজ়ারল্যান্ডে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। বিখ্যাত গান ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’-এর শুট চলাকালীন ওখানকার একটি হাসপাতালেই দিদিকে ভর্তি করান। চিকিৎসকেরা হাত তুলে দিয়েছিলেন। হয়তো বাঁচতেনই না লালারুখ। শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা গিয়েছিল তাঁর। ওই অবস্থায় প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করতে হচ্ছিল বলিউডের রোম্যান্টিক নায়ককে। শাহরুখ জানান, বাবা-মায়ের মৃত্যু গভীর ছাপ রেখে যায় দিদির মনে। বাবার মৃত্যুর সময়ের একটি ঘটনা বর্ণনা করেন শাহরুখ। মৃতদেহ দেখার পরে শেহনাজ় পুরো চুপ করে গিয়েছিলেন। কাঁদেননি, কথাও বলেননি। হঠাৎই মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। মাথায় আঘাত লেগেছিল। তার পরে টানা দু’বছর শেহনাজ় কেবল শূন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতেন।
অবস্থা শোচনীয় হয় তাঁর মায়ের মৃত্যুর পরে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর ঘটনা লালারুখের শরীরে প্রভাব ফেলেছিল। তবে এখন তাঁর দিদি ঠিক আছেন। বিভিন্ন সময় নানা অনুষ্ঠানে শাহরুখ-গৌরীর সঙ্গে দেখা যায় অভিনেতার দিদিকে। যদিও পরিবারের একের পর এক কাছের মানুষকে চলে যেতে দেখে নিজেকে শক্ত করে নেন কিং খান। শাহরুখ বলেন, ‘‘আমার কাছে অভিনয়টা শান্তির জায়াগা। যাতে অবসাদে ডুবে না যাই, তাই ঠাট্টা, রসিকতা করি। লোককে নিয়ে রসিকতা করেই দিন কাটিয়ে দিই।’’