শ্রীলেখা মিত্র, সৌরভ দাস কি ‘বিগ বস্ বাংলা’র ঘরে যাচ্ছেন? ছবি: ফেসবুক।
কবে শুটিং শুরু হবে? কেউ জানে না। স্টার জলসার ‘বাংলা বিগ বস্’ নিয়ে টেলিপাড়ায় জল্পনার অন্ত নেই। চলতি বছরের জুলাইয়ে শোনা গিয়েছিল, এ বারের পর্ব সঞ্চালনায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নাকি ডাক পেয়েছেন নীল ভট্টাচার্য, তৃণা সাহা, সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আগে শোনা যাচ্ছে, তালিকায় নতুন সংযোজন নাকি শ্রীলেখা মিত্র, সৌরভ দাস।
সুদীপ্তা আনন্দবাজার ডট কম-এর কাছে স্বীকার করেছিলেন, তিনিও এ রকম কানাঘুষো শুনেছেন। কিন্তু, তাঁকে নাকি এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। শ্রীলেখার কাছে কি চ্যানেলের তরফ থেকে কোনও আমন্ত্রণ এসেছে? প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। পরিচালক-অভিনেত্রীর কথায়, “আমন্ত্রণ দূরের কথা, এ রকম গুঞ্জনও কানে আসেনি।” তার পরেই হাসতে হাসতে বলেছেন, “ওখানে থাকতে গেলে খুব ঝগড়া করতে হয়। ওটা আবার আমি একেবারেই পারব না। বরং বেশি দিন ওই ঘরে থাকলে মাথাখারাপ হয়ে যাবে!” অন্য দিকে, সৌরভকে ফোনে ধরা যায়নি।
কথাপ্রসঙ্গে শ্রীলেখা অতীত ফিরে দেখেছেন। জানিয়েছেন, জিৎ যে পর্বের সঞ্চালক ছিলেন, সেই পর্বে তিন দিনের জন্য যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মনে পড়ছে, নিজের খরচে দামি ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। “আধখানা ডিমের জন্য প্রতিযোগীদের ঝগড়া করতে দেখেছি। মায়া হয়েছিল। নিজের টাকায় তাই সেরা ইলিশ মাছ কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম।” চ্যানেল থেকে বলা হয়েছিল, এই অনুভূতির দাম তিনি পাবেন না। সেটাই নাকি ঘটেছিল। “ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়ায় ওখানকার এক প্রতিযোগী আমার নামে খুব কুৎসা গেয়েছিলেন।” শুধু টাকার জন্য তাই এই ধরনের অনুষ্ঠান যোগ দিতে নারাজ শ্রীলেখা।
২০১৫ সাল। হিন্দি ‘বিগ বস্’-এর আদলে বাংলায় প্রথম শুরু হয় প্রতিযোগিতামূলক এই অনুষ্ঠানটি। সে বছর সঞ্চালনায় ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। দ্বিতীয় পর্বে সঞ্চালনায় আসেন জিৎ। “মাত্র তিন দিনেই হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। আমি কারও বাথরুম পরিষ্কার করতে পারব না। গলা ছেড়ে ঝগড়া করতে পারব না। সারা ক্ষণ পটের বিবি সেজেও থাকতে পারব না।” ফলে, এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে তিনি নেই।