বর্ষার মরসুমে জ্বরজারি? ভাল থাকতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাক রকমারি পানীয়। ছবি: সংগৃহীত।
এই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, পরক্ষণেই রোদ। বর্ষার মরসুমে রোগ-জীবাণুর সংখ্যা বাড়ে উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য। টানা বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমে যায়। বৃষ্টি কমলে ফের গরম। তাপমাত্রার হেরফেরেও শরীর খারাপ হয় এমন সময়। সুস্থ থাকতে জরুরি হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
এমন মরসুমে কোন পানীয়ে চুমুক দিলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, গলার খুসখুসে ভাব কমবে?
ডাবের জল: বর্ষার মরসুম হলেও দিনে মাপমতো জল খাওয়া প্রয়োজন। গরমের দিনে ডাবের জল পেট ঠান্ডা রাখে। বর্ষার সময়েও পেট ঠান্ডা রাখা দরকার। রাতে ঘুমের পর শরীর থেকে সকালে মল-মূত্রের মাধ্যমে ক্ষতিকারক পদার্থ বেরিয়ে যায়। তার পর শরীরকে সক্ষম রাখতে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের প্রয়োজন হয়। ডাবের জলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। ডাবের জল কিছুটা হলেও ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। ইলক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধেও তা সহায়ক।
চা: আদা, লবঙ্গ গলা খুসখুসের সমস্যায় আরাম দেয়। গা ম্যাজম্যাজ করলে চুমুক দিতে পারেন ভেষজ চায়ে। জলে আদা থেঁতো করে দিয়ে দিন। যোগ করুন লবঙ্গও। হালকা গরম চায়ে চুমুক দিলেই শরীর ভাল লাগবে। আদায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। বার বার কাশি হলে তাই আদা চায়ে চুমুক দিলে আরাম লাগে। লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। এতে মেলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। জ্বরজারির সময় ঘরোয়া টোটকা হিসাবে লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়।
তুলসীর কাড়া: তুলসীপাতার ভেষজ গুণ নিয়ে চর্চা যথেষ্ট। মা-ঠাকুরমারা ছোটদের সর্দি-কাশি হলে তুলসীপাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়াতেন। তা কিন্তু যে কোনও বয়সে খাওয়া যায়। বানিয়ে নিন তুলসীর কাড়া। গরম জলে তুলসীপাতা, গোলমরিচ, দারচিনি ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। গলা, শ্বাসযন্ত্রের ছোটখাটো সংক্রমণ মোকাবিলায় কাজ করে তুলসী। রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে এই পাতা। সর্দি-কাশির টোটকা হিসাবে এটি বেশ জনপ্রিয়। গোলমরিচ, দারিচিনিতেও রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন এক চামচ মধু।