পেটফাঁপতে পারে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েও? কোন খাবার বুঝেশুনে খাওয়া প্রয়োজন? ছবি: শাটারস্টক।
ব্রকোলি, ফুলকপি, ডাল, বিন, আপেল— পুষ্টিকর খাবার বলতে যেমনটা বোঝায়, এগুলি তা-ই। প্রত্যেকটি খাবারেই রয়েছে ফাইবার, যা সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত ভাল। ডাল, বিন প্রোটিনে ভরপুর। ব্রকোলি, ফুলকপিতে ক্যালোরি কম, অথচ এগুলিতে ভিটামিন, খনিজ মেলে যথেষ্ট।
কিন্তু স্বাস্থ্যকর এই খাবারই ক্ষেত্রবিশেষে পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। খাওয়াদাওয়া অতিরিক্ত হলে, কখনও আবার পরিমিত খেলেও এই সমস্ত খাবারে কারও কারও সমস্যা হতে পারে।
পেটফাঁপার কারণ কী?
ব্রকোলি: ভিটামিনে ভরপুর ব্রকোলিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের তৈরি করা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে তা সাহায্য করে। কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর ব্রকোলিতে রয়েছে র্যাফিনোজ় নামে ‘কমপ্লেক্স সুগার’, যা হজম করতে কারও কারও সমস্যা হতে পারে। এই খাবার যখন কোলনে পৌঁছয়, গাট ব্যাক্টেরিয়া তা মজাতে শুরু করে। তার ফলে পেটফাঁপা এবং গ্যাসের সমস্যা হয়।
ডাল: গ্যাস, অম্বলের সমস্যা হলে কিন্তু ডাল এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কারও আবার ঘন ডাল সহ্য হয় না। ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। খাবার পরিপাকের সময় ক্ষুদ্রান্ত্রে খাবারে থাকা শর্করা চট করে শোষিত হতে চায় না। তার ফলে হজমে সমস্যা হয়।
বিন: কাবলি ছোলা, রাজমার মতো খাবারগুলি পুষ্টিকর নিঃসন্দেহে। প্রোটিন এবং ফাইবার মেলে এতে। কিন্তু এতে থাকে রেজ়িস্ট্যান্ট স্টার্চ। এই ধরনের স্টার্চ ক্ষুদ্রান্ত্রে চট করে পরিপাক হয় না, উল্টে বৃহদন্ত্রের নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া স্টার্চগুলিকে মজাতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়া ক্ষতিকর নয় মোটেই। তবে কারও কারও এ থেকেই পেটে অস্বস্তি বা গ্যাস হতে পারে। হজমের গন্ডগোলও দেখা দেয়।
কখনও কখনও অতিরিক্ত তেলমশলা দিয়ে রান্না, পেটপুরে খাওয়ার ফলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। পেট ফাঁপলে এই ধরনের খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেখতে পারেন। তা ছাড়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেলেও গ্যাস, অম্বলের সমস্যা কিছুটা কমে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, স্বাস্থ্যকর হলেও যে কোনও খাবার পরিমিত খাওয়া দরকার। তা ছাড়া, খাওয়ার পরে হাঁটলেও বদহজমের সমস্যা এড়ানো যেতে পারে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। এখানে কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। কোন খাবার কতটা খাবেন সে বিষয়ে চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া দরকার।