রুটি দিয়েও এমন শিঙাড়া হয়। ছবি: সংগৃহীত।
শিঙাড়ার পুরের বৈচিত্র কম নেই। চিরন্তন আলুর পুর তো আছেই। শীতের দিনে ফুলকপি থেকে কড়াইশুটি, স্বাদ বদলে পনির থেকে মুরগির কিমা, এমনকি নুড্লসও ঠাঁই পায় তার পুরে। তা বলে খোলটিও কি অন্য রকম হতে পারে? ময়ান দিয়ে ময়দা মেখে বেলে তৈরি করা হোয় তিনকোনা খোল। তার মধ্যে ঠেসে দেওয়া হয় পছন্দের পুর। কড়াইয়ে ছাঁকা তেলে তার পর শুধু ভাজার অপেক্ষা।
আর এক রকমের শিঙা়ড়ার খোলও হয়। যাকে হিন্দিতে বলে ‘সমোসা পাত্তি’। পাতলা কাগজের মতো খোল বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে পুর ভরে ভেজে নিলেই হল।
তবে এবার হেঁশেলের দৈনন্দিন রান্না কাজে লাগিয়েই শিঙাড়া তৈরির নতুন পন্থা দেখিয়েছেন পঞ্জাবের বধূ সোনিয়া কৌর। ইনস্ট্রাগ্রামে শেয়ার করা সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে চাটুতে রুটি বানাচ্ছেন তিনি। আর একটি পাত্রে কড়াইশুঁটি, আলু দিয়ে বানিয়েছেন পুর।
রুটি সেঁকে ঘি লাগিয়ে আধখানা করে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছেন তিনি। তার পর আটা গুলে তা কেটে রাখা রুটির প্রান্তে লাগিয়ে তৈরি করেছেন শিঙাড়ার খোল। তার পর পুর ভরে মুখটি আটকে তেলে ভেজেছেন। আটা গোলাটি এ ক্ষেত্রে আঠার কাজ করেছে।
এ ভাবেই শিঙাড়া বানিয়ে নিতে পারেন ঘরে। আলুর তরকারি বানানো সম্ভব না হলে, তৈরি করা তরকারি কড়াইয়ে নাড়াচাড়া করে শুকিয়ে পুর বানাতে পারেন। এতে খাটনি যেমন কম হবে, তেমনই সহজে মুচমুচে শিঙাড়াও বানানো যাবে। ভাজার পর বোঝার উপায় থাকবে না সেটি রুটির তৈরি।