ভিটামিন ডি-র অভাব হলে বুঝবেন কী ভাবে? ছবি : সংগৃহীত।
ভিটামিন ডি-র অভাব হলে কী খাবার খেতে হবে, কী ভাবে খেতে হবে, কখন ওষুধ খেতে হবে, ইত্যাদি নিয়ে নানা রকমের আলোচনা করেন পুষ্টিবিদেরা। কিন্তু শরীরে যে ভিটামিন ডি-এরই অভাব হচ্ছে তা বুঝবেন কী করে? সমস্যা জানলে তবেই না তার সমাধান খোঁজা সম্ভব। পুষ্টিবিদ রমিতা কৌর জানাচ্ছেন, শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হচ্ছে কি না, তা বোঝার কয়েকটি সহজ উপায় আছে। তবে তার জন্য জানতে হবে, ভিটামিন ডি শরীরে কোন কোন কাজ করে।
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধক শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এমনকি, মন-মেজাজ ভাল রাখতেও ভিটামিন ডি-এর বড় ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া শরীরবৃত্তীয় প্রায় সমস্ত কার্যকলাপই সহজ হয় শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে। তাই ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে প্রথমেই তার প্রভাব পড়বে পূর্বোক্ত ক্ষেত্র গুলিতে।
কী কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে?
১। পেশিতে যন্ত্রণা: পেশিতে পুষ্টি যথাযথ ভাবে পৌঁছে যাচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করে ভিটামিন ডি। অভাব হলে হাতে-পায়ে ব্যথা হতে পারে। আবার, কারণ ছাড়া কোমরে, পিঠে, ঘাড়ে ব্যথা হলেও তার কারণ হতে পারে ভিটামিন ডি।
২। অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া: কারণে-অকারণে খেতে ইচ্ছে করছে? ক্রমাগত কিছু না কিছু খেয়ে মুখ চালাতে ইচ্ছে করছে? শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে শরীর কিছুতেই পূর্ণ বোধ করে না। ফলে পেট ভরে খেয়েও পরিতৃপ্তি আসে না। এর থেকে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ে।
৩। ক্লান্তিবোধ: সর্ব ক্ষণ ঘুম পাওয়া, কাজ করার ইচ্ছে না থাকা, সকালে ঘুম ভাঙতে না চাওয়া, ঘুম থেকে উঠেও তরতাজা বোধ না করা— এই সবই হতে পারে ভিটামিন ডি-র অভাব হলে।
৪। মেজাজ খারাপ: মন মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে যে হরমোন সেই সেরোটোনিনের উৎসেচকের কাজ করে ভিটামিন ডি। শরীরে এই ভিটামিনের অভাব হলে তাই মন-মেজাজ ঝিমিয়ে থাকে।
৫। ঘুম না হওয়া: ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে অনেক সময় স্নায়ুর স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। এর ফলে ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমোনোর যে সময়চক্র, তার রুটিন নষ্ট হতে পারে। ফলে রাতে ঘুম না-ও হতে পারে। সারা দিন ঝিমুনি আসতে পারে।